জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০২৪, ১০:৩২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক।

মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা ৫৬ মিনিটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। কিছু সময় নীরবতা পালন করেন তারা। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পরিদর্শন বইয়ে সই করেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা। রাজার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভুটানের রানি জেৎসুন পেমা।  

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় বার ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

pm1

এরপর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা।

শ্রদ্ধা জানান তিন বাহিনীর প্রধান ও ডেপুটি স্পিকারসহ অনেকেই। পরে বীর শহীদদের স্মরণে মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ জাতীয় সংসদের হুইপরা স্বাধীনতা দিবেস জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ এলাকা থেকে রওনা দেয়ার পর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানার নিয়ে দলে দলে জনস্রোত প্রবেশ করে স্মৃতিসৌধে।

pm2

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বজ্রবাণীর পর বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে  পাকিস্তানি বাহিনী মৃত্যুপুরী বানিয়ে ফেলে ঢাকা।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানা ইপিআরসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ হলেও পাকিস্তানি সেনাদের ভারী অস্ত্রের সামনে তা টিকেনি বেশিক্ষণ। মেশিনগান, কামানের গোলার পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় শহরজুড়ে।

পৈশাচিক বর্বরতার মধ্যেই ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আটক করে পাকিস্তানি বাহিনী। তার আগেই বাংলাদেশকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করে দেশবাসীর উদ্দেশে তারবার্তা পাঠিয়ে যান তিনি, স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার হয় ইপিআরের ওয়্যারলেস বার্তায়।

মরণপণ লড়াই চলে পরের নয়টি মাস। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, অসংখ্য নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ধরা দেয় বিজয়। বাঙালির আত্মত্যাগ পরিণতি পায় বিশ্ব মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামের এক নতুন রাষ্ট্রের অবয়বে।

এনএ/