খতমে নবুওয়্যাতের আক্বিদা অস্বীকারকারীরা অমুসলিম: এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী
প্রকাশ: ২৪ মার্চ, ২০২৪, ০৮:১২ রাত
নিউজ ডেস্ক

তাহরিকে খতমে নবুওয়্যাত বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুফতি ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী বলেছেন, দ্বীন ইসলামের দাওয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা যুগে যুগে নবী ও রাসূলগণকে পৃৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। সর্বশেষে আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে নবীকূলের স¤্রাট, নূর নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)কে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল হিসেবে প্রেরণ করে নুবুওয়্যাত ও রিসালাতের দরজা চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছেন। যার পরে আজ পর্যন্ত কোন প্রকার নবী কিংবা রাসূল অবশ্যই আসেনি। অবশ্যই কিয়ামত পর্যন্ত আসবে না। এ আকিদা বা বিশ্বাসকেই বলা হয় আকিদায়ে খাতমে নুবুওয়্যাত। খাতমে নুবুওয়্যাতের আক্বিদা অস্বীকারকারীরা অমুসলিম। কাদিয়ানী সম্প্রদায় নিঃসন্দেহে কাফের এবং অমুসলিম। তাদেরকে যারা কাফের মনে করবে না তারাও কাফের।


কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। গতকাল ইনিস্টিটিশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।


ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সাইয়্যেদ মুফতি মুহাম্মাদ এহসানুল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী, ক্বারী সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ ওবায়েদুল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক অর্থ সম্পাদক ও জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ ইসা শাহেদী, বানিয়াপাড়া দরবার শরীফের বর্তমান পীরসাহেব মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক আল কাসেমী, ধামতি দরবার শরীফের পীর সাহেব মাওলানা বাহাউদ্দিন, মাওলানা দা'ঈ আব্দুল হাকিম এবং মুফতি সাওবান সাকিব।


ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি উদ্দেশ্য করে পীর সাহেব জৌনপুরী বলেন, ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো খাতমে নুবুওয়্যাতের আন্দোলনের ব্যপারে কেন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে তা আমার নিকট একেবারেই অস্পষ্ট। অথচ ইতিহাস স্বাক্ষী দেয় খাতমে নুবুওয়্যাতের আন্দোলন সবচেয়ে বড় আন্দোলন, খাতমে নুবুওয়্যাতের জিহাদ সবচেয়ে বড় জিহাদ। কেননা হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রাদি.) কর্তৃক মুসায়লামাতুল কাজ্জাবের বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধে এক দিনে ২৪০০ শত সাহাবী শাহাদাত বরণ করেছেন। যারমধ্যে ৭০০ শতসাহাবী কোরআনে হাফেজ ছিলেন।


মুসায়লামাতুল কাজ্জাবের পর থেকে যুগে যুগে মিথ্যা নুবুওয়্যাতের দাবীদার আবির্ভাব ঘটেছে মুসলমানগন তরবারী দিয়ে ফায়সালা করেছেন। ১৭৫৭ সালে উপমহাদেশের স্বাধীনতা ইংরেজদেও দ্বারা খর্ব হয়। তার পর থেকে ইংরেজরা এদেশে তাদের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ইসলাম ও মুসলমানের বিপক্ষে চক্রান্ত করে আসে। ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলোকে তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসে। তারই ধারাবাহিকতায় ইংরেজরা তাদের পা চাটা গোলাম কাদিয়ানের কাজ্জাব মীর্জা গোলাম শয়তান কাদিয়নীকে চক্রান্তে নামায়। ১৯০৮ সালে মীর্জা গোলাম শয়তান কাদিয়নী গজব প্রাপ্ত হয়ে কুখ্যাত জাহান্নামের কুখ্যাত কুকুরে পরিনত হয়। তার অনুসারীরা বর্তমানে কাদিয়ানী সম্প্রদায়। নি:সন্দেহে তারা কাফের এবং অমুসলিম। অতএব তাদেরকে অবশ্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট পীর সাহেব জৌনপুরী কতিপয় দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে, কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। তাদের সকল প্রকারের ব্যবসায়ী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। কেননা তাদের উপার্জিত অর্থ ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যয় করা হয়ে থাকে। তাদের সকল প্রকার প্রকাশনা নিষিদ্ধ করতে হবে। পঞ্চগড়ে মুুসলমানদেও হয়রানি ও মিথ্যা মামলা বন্ধ করতে হবে।

হাআমা/