যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে মিসরে পৌঁছেছে হামাস
প্রকাশ: ০৩ মার্চ, ২০২৪, ০৯:৫৮ রাত
নিউজ ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে পৌঁছেছে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সেখানে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ওয়াশিংটন বলেছে, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি নিয়ে ইতোমধ্যে টেবিলে আলোচনা চলছে। আলোচনায় সমর্থন দিয়েছে ইসরায়েল। এখন শুধু হামাসের পক্ষ থেকে সমর্থন পেলেই চুক্তিটি বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু যুদ্ধরত পক্ষগুলো অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো তথ্যই দেয়নি।

হামাসের প্রতিনিধি দল আসার পর একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, চুক্তিটি ‘এখনো টেবিলে যায়নি’। ইসরায়েলি পক্ষ থেকে এমনকী তাদের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে এমন কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণও পাওয়া যায়নি।

আলোচনার বিষয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাস প্রথমে জীবিত জিম্মিদের একটি সম্পূর্ণ তালিকা উপস্থাপন না করলে ইসরায়েল আলোচনা থেকে দূরে থাকতে পারে। তবে একটি ফিলিস্তিনি সূত্র বলেছে, হামাস এখন পর্যন্ত চুক্তিটি অসম্পূর্ণ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তবুও, একজন মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আক্ষরিক অর্থে এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতির পথ সোজা। টেবিলে একটি চুক্তি রয়েছে।’

গত নভেম্বরে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিলো। এরপর আর কোনো বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি আলোর মুখে দেখেনি। নতুন এই চুক্তিটি বাস্তবায়ন হলে কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে কয়েক ডজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।

এদিকে, দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা ফিলিস্তিনিদের জীবন বাঁচাতে অবরুদ্ধ গাজায় সাহায্য বাড়ানো হবে। রাফাতে ইসরায়েলের পরিকল্পিত বড় আক্রমণ বন্ধ করা গেলে সময়মতো যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে। ইসরায়েলি বাহিনী কিছু এলাকা থেকে পিছু হটবে ও গাজাবাসীরা যুদ্ধের আগে ছেড়ে আসা বাড়িতে ফিরতে পারবে।

মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীরা বলেছেন, এই সমস্যাগুলো আপাতত সরিয়ে রাখা যেতে পারে। তবে আশ্বাস দিতে হবে সমস্যাগুলো পরবর্তীতে সমাধান করা হবে। হামাসের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, যোদ্ধারা এখনো একটি ‘প্যাকেজ চুক্তির’ জন্য অপেক্ষা করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন গত সপ্তাহে বলেছিলেন, সোমবার একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে। যদিও ওয়াশিংটন তখন থেকে এমন এক দৃঢ় সময়সূচী থেকে সরে এসেছে। এদিকে রমজানের বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। এ মাসে যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে সময়মতো চুক্তি বাস্তবায়ন করাও এখন মূল লক্ষ্য।

এনএ/