গোলাগুলি কমলেও আতঙ্ক কাটেনি সীমান্তে
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০১:৩৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি থামলেও আতঙ্কে স্থানীয়রা। প্রশাসনের নির্দেশে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দাদের অনেকেই সরে গেছে নিরাপদ আশ্রয়ে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে টেকনাফে হোয়াইক্যাং সীমান্ত দিয়ে ৬৪ জন প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। এ নিয়ে মোট তিনশ' ২৮ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। 

গতকাল বান্দরবান সীমান্ত লাগোয়া কয়েকটি বিজিবি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দুইশ' ৬৪ জন বিজিপি সদস্যকে দেশটি ফিরিয়ে নিতে আগ্রহী। সীমান্ত অরক্ষিত নেই।

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের কোন সুযোগ দেয়া হবে না বলেও জানান বিজিবি মহাপরিচালক। এদিকে,সীমান্তে অস্থিরতার কারণে শনিবার থেকে টেকনাফ- সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

এদিকে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি, পুলিশ, ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের দেশটি নৌবাহিনীর জাহাজে ফিরিয়ে নিতে চায়। হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

বুধবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় মিয়ানমারের দেওয়া প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এমন আলোচনা হয়েছে। এদিন মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপিডোতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের আলোচনাতেও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে এসেছে। সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশ নাফ নদীর পরিবর্তে আকাশপথে বান্দরবনে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের লোকজনকে ফেরত দেয়ার প্রস্তাব করলেও তারা সমুদ্রপথেই নিতে চায়। 

রাখাইনের অস্থিরতা যাতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে কোনো প্রভাব না ফেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সে দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন অনুরোধ জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

এনএ/