প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চমবার শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৭:১৩ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

টানা চতুর্থবার ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।  

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে বঙ্গভবনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে চার মেয়াদে ২০ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ শাসন করেছেন শেখ হাসিনা।

২০২৯ সালে পঞ্চম মেয়াদ পূর্ণ হলে তিনি স্বাধীন দেশে ২৫ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশের মোট বয়সের প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে শেখ হাসিনার শাসনকাল।

পঞ্চম মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার সঙ্গী হচ্ছেন ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর তরুণ-প্রবীণদের সমন্বয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর পর একে একে মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদেরও শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।

এর আগে বুধবার অষ্টমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রথম ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে ২২৩টি আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।

বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জন করা এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পর সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। যাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ নেতা।

এদিকে গত দুই মেয়াদে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি ২৬ আসনে সমঝোতা করলেও শেষ পর্যন্ত মাত্র ১১ আসনে জয় পেয়েছে।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং বিএনপির জোট থেকে বেরিয়ে আসা কল্যাণ পার্টি একটি আসনে জয় পেয়েছে।

কেএল/