যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোয় ইসলামি জিহাদের প্রতিনিধিদল
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১১:০০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে মিশরের কায়রো পৌঁছেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদল।

একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রতিনিধিদলটি মিশরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, ইসলামি জিহাদের প্রতিনিধিদল গাজা ত্যাগ করার আগে বলে গেছে, তাদের লক্ষ্য থাকবে গাজার ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।

ওদিকে মিশরের ওয়াকিবহাল একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলিরা গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করে নেওয়ার জন্য কয়েক দিন আগে কায়রো ও দোহাকে অনুরোধ জানিয়েছে।

ইসলামি জিহাদের মহাসচিব সম্প্রতি বলেছিলেন, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে এই উপত্যকার পুনর্নির্মাণ করা হবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য যেকোনও চুক্তির প্রথম শর্ত। এছাড়া, ফিলিস্তিনিদের হাতে আটক সকল ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে আটক সকল ফিলিস্তিনি বন্দিরও মুক্তি দাবি করেন তিনি।

এদিকে ইসরায়েলি দৈনিক টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য মিশর একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া মিশরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে চারদিন ধরে আলোচনা করে দোহায় ফিরে গেছেন। ওই প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করতেই জিহাদ আন্দোলনের প্রতিনিধিদল কায়রো পৌঁছেছেন।

ওই প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ইসরাইলি সেনারা প্রথমে গাজায় তাদের আগ্রাসন বন্ধ করবে এবং এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনিদের হাতে বন্দি বয়োবৃদ্ধ ও অবশিষ্ট নারী বন্দিরা মুক্তি পাবেন। এরপর গাজার পুনর্নির্মাণ এবং পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রস্তাবনার তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে, এরপর ইসরায়েল গাজা উপত্যকা থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করবে এবং অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে। এই প্রস্তাবনা মিশর তৈরি করেছে এবং এখন পর্যন্ত ইসরায়েল তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেনি বলে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে। সূত্র: আল আহরাম, পিআইসি, প্রেসটিভি, সিএনবিসি, আল আরাবিয়া, টাইমস অব ইসরায়েল, রয়টার্স

এনএ/