হুথিদের হামলা মোকাবিলায় লোহিত সাগরে নতুন বাহিনী পাঠাচ্ছে যেসব দেশ
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:২১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

লোহিত সাগরে ও ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। তারা মূলত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলার প্রতিবাদে এবং অবরুদ্ধ ওই উপত্যকায় চিকিৎসা সরঞ্জাম, জ্বালানি, পানি ও ত্রাণ সরবরাহের দাবিতে এই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে ভীষণ চাপে পড়েছে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েল।

এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী গঠন করে লোহিত সাগরে পাঠাচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন সোমবার দিবাগত রাতে বাহরাইনে এই ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজগুলোকে হুথি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে চালানো ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রক্ষা করতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশ মিলে নতুন এই বাহিনী গঠন করছে।


লয়েড অস্টিন বলেন, “এটি একটি আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ, যা সম্মিলিত পদক্ষেপের দাবি রাখে। তাই আজ আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ নতুন বহুজাতিক নিরাপত্তা উদ্যোগ হিসেবে ‘অপারেশন প্রসপারিটি গার্ডিয়ান’ গঠনের ঘোষণা করছি।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই বাহিনীতে থাকছে- যুক্তরাজ্য, বাহরাইন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সেশেলস এবং স্পেন।

এগুলোর মধ্যে কিছু দেশ যৌথ টহল পরিচালনা করবে। আর অন্যরা দক্ষিণ লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে গোয়েন্দা তৎপরতায় সহায়তা প্রদান করবে।

এই বাহিনী লোহিত সাগরে বিদ্যমান ‘সম্মিলিত টাস্ক ফোর্স ১৫৩ বা সিটিএফ-১৫৩ এর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। সিটিএফ-১৫৩ গত বছরের এপ্রিল মাসে লোহিত সাগর, বাব এল-মান্দেব এবং এডেন উপসাগরে সামুদ্রিক নিরাপত্তার উন্নয়নে গঠন করা হয়েছিল।

সিটিএফ-১৫৩ এর সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে ৩৯টি। এগুলোর মধ্যে নতুন এই মিশনে কোন কোন দেশ কাজ করবে তা নির্ধারণে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে, বর্তমানে তিনটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ- ইউএসএস কার্নি, ইউএসএস স্টেথেম এবং ইউএসএস মেসন- নামের নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার হুথিদের আক্রমণ প্রতিরোধ ও দুর্দশা ডাকে সহায়তা দিতে প্রতিদিন বাব এল-মান্দেব প্রণালী দিয়ে চলাচল করছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এনএ/