অবশেষে মারাই গেলেন ইসরায়েলি হামলায় আহত আল জাজিরার সাংবাদিক
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:০৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ইসরায়েলি হামলায় আহত আল জাজিরার আরবির সাংবাদিক সামির আবুদাকা মারা গেছেন। ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করা সামি ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সেখানেই না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।

হামলার ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আল-জাজিরার আরবির গাজা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল দাহদুহ, দেড় মাস আগে ইসরায়েলের বিমান হামলায় যিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান হারিয়েছিলেন।

গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় আবুদাকাকে নিয়ে সেখানকার ফারহানা স্কুল থেকে ইসরায়েলি হামলার সংবাদ প্রচার করছিলেন দাহদু।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বোমা হামলার পর বাহুতে আঘাত পাওয়া দাহদুহকে কোনোমতে সেখানকার নাসের হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হলেও ধ্বংসস্তুপে আটকে থাকেন সামি। শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আর সামির কাছে পৌঁছাতেই পারেনি। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার খান ইউনিসে জাতিসংঘের ফারহান স্কুলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান ওয়ায়েল ও সামির। তখনই হামলার ক্ষেপণাস্ত্র মুখে পড়েন তারা। ওয়ায়েলের ডান হাতে শ্রাপনাল আঘাত হেনেছে। ওই এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী বহু গোলা ছোড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর সন্ত্রাসী ইসরায়েলিদের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ সাংবাদিক। বহির্বিশ্বে যেন তাদের বর্বরতার খবর যেতে না পারে সেজন্য সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত ২৫ অক্টোবর গাজার দক্ষিণাঞ্চলের নুসিরাত শরণার্থী ক্যাম্পে দখলদার ইসরায়েলের বোমা হামলায় মারা যান ওয়ায়েল আল-দাহদুরের স্ত্রী, দুই সন্তান ও তার নাতনী।

৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত যত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে চার সন্তানের জনক সামি হলেন ৫৭তম।

সামির আবুদাকাকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আইসিসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আল জাজিরার মিডিয়া নেটওয়ার্ক।

৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮ শ’র মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এনএ/