বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে কাকরাইল মারকজের দাওয়াতি চিঠি প্রকাশ
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর, ২০২৩, ০৮:৪৪ রাত
নিউজ ডেস্ক

তারিখ ঘোষণার পর থেকে আসন্ন ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বিগণ। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকালে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের আহলে শূরা মাওলানা যোবায়ের আহমাদ সাক্ষরিত দাওয়াতি চিঠি প্রকাশ করেছে কাকরাইল মারকাজ।

চিঠিটি আওয়ার ইসলাম পাঠকের জন্য তুলে ধরছি-

'আসসালামু আলাইকুম আশাকরি আল্লাহর মেহেরবানিতে ভাল আছেন ও দ্বীনের মোবারক মেহনতে মশগুল আছেন।
জগতের সকল মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতের চিরস্থায়ী জিন্দেগীর প্রকৃত সফলতা অর্জন করার জন্য কম-বেশি সোয়া লক্ষ নবী রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র জীবন ব্যবস্থা তথা দ্বীন দিয়েছেন। দ্বীন হচ্ছে আল্লাহ পাকের আহকামাত সমূহ রসুল সা. এর মোবারক তরিকায় পুরা করার নাম।

এই দ্বীনের অন্যতম ও মৌলিক বিষয় হচ্ছে আল্লাহ পাক আমাদের একমাত্র রব, যিনি তার কুদরত দিয়ে জগতের সমস্ত ছোট ও বড় বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন এবং প্রতিনিয়ত তা নিয়ন্ত্রণ করছেন। চাঁদ, সূর্য, গ্রহ ও নক্ষত্র মানুষের খেদমতে তিনি নিয়োজিত করেছেন এবং মানুষের হায়াত মউত একমাত্র তারই কবজায়।

ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে প্রিয় নবী মুহাম্মদ সা. হাযরতে সাহাবা আজমাইনকে ঈমানের এই শিক্ষার আলোকে তাদের একীনকে সুদৃঢ় করেছেন। আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবী রাসুলদের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

যেহেতু আমরা শেষ নবীর উম্মত, রসুল সা. ওফাতের পর আর কোন নবী আসবেন না; এই জন্য আল্লাহ তায়ালা এই উম্মতকে দাওয়াতের কাজের জিম্মাদারী দান করে "বেহতেরীন উম্মত" হিসাবে সম্মোধন ও সম্মানিত করেছেন। হযরত সাহাবা আজমাইন এই কাজের জিম্মাদারীকে উপলদ্ধি করে আমানতদারীর সাথে নামাজকে কায়েম করতেছেন,  এলেম ও জিকিরের রওশনিতে, নবীওয়ালা আখলাকের সাথে একমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়ার আনাচে-কানাচে ফিরেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিটি সাথীকে সালানা মাহানা খুরুজ ও সকল মসজিদে মোকামী কাম জিন্দা করার জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টা করা।

হযরতে সাহাবা কেরাম রা. এর অনুকরণে, পুরো মানব জাতির মধ্যে পরিপূর্ণ দ্বীন ও দ্বীনের মেহনতকে জিন্দা করা এবং শেষ হযরতজি হযরত মাওলানা এনামুল হাসান রহ. সাহেবের সময় হতে প্রতিষ্ঠিত আলমী ছাতায় দাওয়াতের মোবারক মেহনতের মাশোয়ারার জন্য তিন দেশের বড়রা রাইবেন্ড, টংগী ও হজের সময় একত্রিত হওয়ার প্রয়োজনে, অন্যান্য বছরের ন্যায় ইনশাআল্লাহ আগামী ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে টংগীতে ইজতেমা হবে।

ইন্দো-পাক ও বাংলাদেশের শূরাই নিজামের আকাবেরীন হাযরাতগণ এবং সারা দুনিয়ার ওলামা কেরাম এবং সকল সাথীগণ অন্যান্য বছরের ন্যায় ইজতেমায় শিরকত করবেন।

তাই এখন থেকে মেহনত করে আপনাদের দেশ থেকে চিল্লা/ ৩ চিল্লার জামাত কসরতের সঙ্গে পাঠানের চেষ্টা করা যাতে কিনা ইজতেমার পূর্বের মেহনতে শরিক হতে পারেন, কমছেকম ইজতেমায় শরিক হয়ে চিল্লার/তিন চিল্লার জন্য আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার এহতেমাম করলে বহুতি ভাল হয়। সকল সাথীদের প্রতি সালাম ও দোয়ার দরখাস্ত রইল।'

উল্লেখ্য, টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণজমায়েত বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০২৪ সালের  ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব  ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের ইজতেমায় আলমী শূরাপন্থী মুসল্লিরা অংশ নেবেন। তিন দিনের প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী মুসল্লিরা অংশ নেবেন।