আমি ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর হওয়ার চেষ্টা করেছি: এরদোয়ান
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর, ২০২৩, ১০:২১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

সৌদি আরবে ওআইসি এবং আরব লীগের সম্মেলনে যোগ দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। রবিবার সেখান থেকে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। 

এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলি বর্বতার মুখে কোনো বিবেকবান মানুষ চুপ করে থাকতে পারে না। প্রথম দিন থেকেই আমি ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর হওয়ার চেষ্টা করেছি এবং গাজায় গণহত্যা বিশ্বকে দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমি ফোন কূটনীতিতে নিয়োজিত আছি এবং অন্যান্য দেশ সফর করছি।

এরদোয়ান বলেন, মানবিক যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে গত ৭ অক্টোবর সংঘাতের নতুন পর্যায় শুরু হওয়ার পর থেকে কূটনীতি ও সংলাপে নিয়োজিত রয়েছি। গাজায় সরবরাহের জন্য মিশরে প্রায় ২৩০ টন মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, তুরস্কের একটি বড় জাহাজও আরও সহায়তার জন্য মিশরের পথে রয়েছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, গণহত্যার মুখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। জাতিসংঘসাধারণ পরিষদের ২৭ অক্টোবরের অধিবেশনে যুদ্ধবিরতি ও নিঃশর্ত মানবিক সহায়তা প্রদানের পক্ষে ১২১টি দেশ ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু আবারও আমরা দেখতে পাচ্ছি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, অধিকাংশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংঘাত বন্ধের উপায় ভাবছে এটা গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধবিরতির জন্য ইসলামিক বিশ্বের ‘একটি মাত্র কণ্ঠস্বর’ থাকা উচিত। শনিবারের সামিটে আমি জোর দিয়ে বলেছি ‘ওআইসি প্রতিষ্ঠার কারণ ছিল ফিলিস্তিন। সুতরাং এটার বিশাল দায়িত্ব রয়েছে।’ সম্মেলনে এবং সম্মেলনের সাইডলাইনে আমি বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্টকে বলেছি ফিলিস্তিনি ইস্যু সম্পূর্ণ সমাধান না হলে কোনো পদক্ষেপই স্থায়ী হবে না। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী রেখে স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন তিনি। এটা এই অঞ্চলের টেকসই শান্তির জন্য অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন এরদোয়ান। 

এনএ/