গাজায় ১৮ হাজার টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর, ২০২৩, ০৬:৩৪ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীগোষ্ঠী হামাসের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ১৮ হাজার টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমায় ফেলা বোমার তুলনায় প্রায় দেড় গুণ বেশি। গাজায় ইসরায়েলি বোমা ফেলার এই তথ্য জানিয়েছেন অবরুদ্ধ উপত্যকার কর্মকর্তারা।

গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারি অফিসের গণমাধ্যমবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা সালামা মারুফ বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ৮৫টি সরকারি ভবন ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি গাজায় ৪৭টি মসজিদ একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং তিনটি গির্জার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ২ লাখের বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৫০০ ভবন পুরোপুরি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গাজায় ২০৩টি স্কুলে হামলা চালিয়ে সেগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে ইসরায়েল। ৪৫টি স্কুল পুরোপুরি পাঠদানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবে ইসরায়েলের হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পুরো পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, ধর্মীয় স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো নিষিদ্ধ। কিন্তু ইসরায়েল বলেছে, হামাসের যোদ্ধারা এসব ভবনের ভেতরে অথবা আশপাশে আশ্রয় নিয়েছে। যে কারণে ইসরায়েলি বাহিনী এসব ভবনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।

মারুফ বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার ৯০৮টি পরিবারকে একেবারে মুছে দিয়েছে। অর্থাৎ ইসরায়েলি হামলার শিকার এই পরিবারগুলোর কোনও সদস্যই আর বেঁচে নেই। 

গত ৭ অক্টোবর গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান এই হামরায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৫২৫ জনে পৌঁছেছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।

চলমান এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৪২ শিশু ও ২ হাজার ১৮৭ নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২১ হাজার ৫৪৩ ফিলিস্তিনি। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলিদের প্রাণহানির সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ৩২৬ সৈন্য রয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু, টাইমস অব ইসরায়েল।

এনএ/