বন্দি হস্তান্তরে যে শর্ত দিল হামাস
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর, ২০২৩, ০৮:০৮ রাত
নিউজ ডেস্ক

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে দুই শতাধিক মানুষকে বন্দি করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিয়ে যায় সেখানকার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা।

ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ২২৯ জিম্মি হামাসের হাতে বন্দি থাকার তথ্য প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে দুই দফায় কয়েকজনকে মুক্তিও দিয়েছে হামাস।

তবে বাকি জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার আগে ইসরায়েলকে শর্ত দিয়েছে ফিলিস্তিন প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি। সেটি হলো- যুদ্ধবিরতি না হলে আর একজন বন্দিও মুক্তি দেওয়া হবে না।
রাশিয়া সফররত হামাসের একজন নেতা এই ঘোষণা দিয়েছেন।

রুশ পত্রিকা ‘কমার্স্যান্ট’ এর বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া সফররত হামাস নেতা আবু হামিদ ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, জিম্মিদের একত্র করতে সময় দরকার। যুদ্ধ চলতে থাকলে তা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, হামাস যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিন থেকেই বলে আসছে বেসামরিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

আবু হামিদ বলেন, “কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি নাগরিক এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর যোদ্ধারা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল কর্তৃক দখলকৃত অঞ্চলে ঢুকে পড়েছিল। তারা বেশ কিছু মানুষকে বন্দি করে এনেছে। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।”

“গাজা উপত্যকায় তাদের খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে এবং তারপর তাদের ছেড়ে দিতে হবে। এজন্য আমাদের সময় দরকার,”।

এরই মধ্যে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় বন্দিদের মধ্যে ৫০ জন নিহত হয়েছে বলেও জানান হামাস নেতা আবু হামিদ।

বৃহস্পতিবার হামাসের একটি প্রতিনিধি দল রাশিয়া সফরে যায়। সেখানে ইসরায়েলি বন্দিদের বিনিময় নিয়ে কথা হয় রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

মস্কো থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক ইউলিয়া শাপোভালোভা বলেন, হামাস প্রতিনিধিদলের এই সফরকে মূলত রাশিয়ার পক্ষ থেকে ঘোষণার প্রচেষ্টা যে, দেশটি (রাশিয়া) সংঘাতের পক্ষে নয়।

মস্কো দেখাতে চায় রাশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী। এই লক্ষ্যেই তারা হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সংঘাতের মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন, রাশিয়ান, ইরানি ও হামাস কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে হামাসের হাতে থাকা রুশ পাসপোর্টধারী তিন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স

এনএ/