মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ।। ৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ৯ রমজান ১৪৪৫


এবারও রমজানে ১০ টাকায় দুধ বিক্রি করছেন এরশাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তিন বছর ধরে প্রতি রমজানে সেবামূলক কাজটি করছেন মো. এরশাদ উদ্দিন। যেখানে একেবারে নামমাত্র দামে আশপাশের এলাকার মানুষের কাছে দুধ বিক্রি করছেন তিনি। রমজান উপলক্ষ্যে ১০ টাকা লিটার দরে তার খামারের সব দুধ বিক্রি করে দিয়েছেন এরশাদ।

এরশাদ উদ্দিন বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেসি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান।

গত তিন-চার বছরে নিজ এলাকায় খামারটি গড়ে তোলেন তিনি। বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত এই উদ্যোক্তা।

জানা গেছে, জেসি অ্যাগ্রো ফার্মে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে উন্নতজাতের ২৫টি গাভিও পালন করা হচ্ছে খামারে। গাভিগুলো থেকে প্রতিদিন ৭০-৭৫ লিটার দুধ পাওয়া যাচ্ছে। এ দুধই ১০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করা হবে। গত বছর একই সময়ে দুধ বিক্রি করলেও পরিধি এত বড় ছিল না। এবার খামারে গাভির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্যোগটিও বড় হয়েছে।

জেসি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান এরশাদ উদ্দিন বলেন, রোজার সময় লোকজন একটু ভালোমন্দ খেতে চায়। সবাই চায় অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি পাতে খানিকটা দুধও থাকুক। দুধ শরীরের জন্য খুব উপকারী। কিন্তু দুধসহ সব কিছুর দামই তো আকাশছোঁয়া। ইচ্ছা থাকলেও সবাই দুধ কিনতে পারবে না। পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে সব দুধ তিনি ১০ টাকা লিটার দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে কেউ তার খামার থেকে নামমাত্র ১০ টাকা লিটার দরে সর্বোচ্চ এক লিটার দুধ কিনতে পারবেন।

সরেজমিনে রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে দেখা গেছে তার খামারে এলাকার দরিদ্র শতেক নারী-পুরুষ লাইন ধরেছেন। কেউ কেউ ১০ টাকায় আবার কেউ বিনা মূল্যে দুধ নিয়েছেন।

দুধ নিতে আসা লোকজনেরা বলেন, বাজারে সবকিছুরই দাম অনেক বেশি। রমজানে ১০০ টাকা লিটার করে দুধ কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এরশাদ ভাই ১০ টাকা করে দুধ দিচ্ছেন, এই দুধ দিয়েই আমরা সেহরি খাব। আমরা অনেক খুশি।

বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেসি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান এরশাদ উদ্দিন বলেন, রমজান এলেই এলাকায় দুধের চাহিদা বেড়ে যায়। হাটবাজারগুলোতে এক লিটার দুধ ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। ১০০ টাকা দিয়ে নিম্নবিত্ত মানুষদের কিনে খাওয়ার ক্ষমতা নেই। এ বিষয়টা চিন্তা করেই তাদের জন্য নামমাত্র ১০ টাকা বা ১ টাকা মূল্যে প্রতিদিন ৭০ জনকে ১ লিটার করে দুধ দেওয়া শুরু করেছি। এছাড়া অনেককে বিনা মূল্যেও দুধ দিয়েছি। আজ প্রথম রমজান থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত চলবে।

তিনি আরও বলেন, পুরো রমজানে আমার খামারে যা দুধ উৎপাদন হবে সবই ১০ টা বা ১ টাকা করে বিক্রি করা হবে। সেই হিসেবে এই রমজানে ২ মেট্রিক টন দুধ বিক্রি করা হবে।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ