বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


ইসলামী বইমেলার পরিধি বাড়ানো দরকার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী: পবিত্র মাহে রবিউল আউয়াল উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের আয়োজনে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে শুরু হয়েছে ইসলামী বইমেলা। গত ০৮ অক্টোবর, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। মেলার উদ্বোধন করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. মুশফিকুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর মেলায় মোট ৬২টি ইসলামি প্রকাশনা অংশগ্রহণ করেছে, খোলা থাকছে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ, তাফসির, হাদিসগ্রন্থসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মৌলিক ও গবেষণামূলক গ্রন্থ স্থান পেয়েছে। মেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টলে সব বই ৩৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য স্টলের বইয়েও রয়েছে একই ধরনের ছাড়।

ইসলামি বইমেলা ইতোমধ্যে বইপ্রেমীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। অনেক স্টলে দেখা গেছে উপচে পড়া ভীড়। সেই সাথে দেখা গেছে পাঠকদের ব্যাপক উচ্ছ্বাস। ইসলামপ্রিয় পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের এক মহামিলন মেলায় রূপ নিয়েছে ইসলামী বইমেলা। এ শুধু বইমেলা নয়, ইসলামপ্রিয় জনতার এ এক প্রাণের মেলা।

এবারের মেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বই বিক্রয় কেন্দ্র, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, বই ঘর, সমকালীন প্রকাশন, কালান্তর প্রকাশনী, চেতনা প্রকাশন, মাকতাবাতুল ফোরকান, সালসাবীল পাবলিকেশন্স, ইত্তেহাদ পাবলিকেশন্স, রফরফ প্রকাশনীসহ ৬২ টি স্টল বরাদ্দ পেয়েছে।

এবার ইসলামী বইমেলাকে ঘিরে নতুন বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করছে অনেক প্রকাশনী। পাঠকদের ব্যাপক সমাগমে বই বিক্রি বেড়েছে আশাতীত পরিমাণে। সাধারণত বিকেল থেকে পাঠকদের ভিড় শুরু হয়, যা রাত অবধি চলতে থাকে। তবে মেলার পরিসর খুবই ছোট্ট হওয়ায় পাঠকরা স্বাচ্ছন্দ্যে বই দেখতে ও কিনতে পারছেন না।

বিশেষত বিকেলের উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে খুবই অস্বস্তিতে পড়েন পাঠকরা। তা ছাড়া বসার কোনো স্থান না থাকায় মেলায় আসা শিশু-কিশোররা সমস্যায় পড়ছে অনেক বেশি।

এসব সমস্যা সমাধানে আরো বড় পরিসরে ইসলামী বইমেলার আয়োজন করলে আগ্রহী সব প্রকাশক মেলায় অংশ নিতে পারবেন এবং পাঠকরাও আনন্দ চিত্তে মেলায় বই কেনাকাটা করতে পারবেন। তাই এই মেলা আরও বড় পরিসরে হওয়া উচিত। আরও বেশি স্টল বরাদ্দ দেওয়া দরকার। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পশ্চিম পাশের রাস্তা মেলার জন্য বরাদ্দ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান সহজেই করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। বিষয়টির প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি দিবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

ইসলামী বইমেলা সার্থক হোক। পাঠক, লেখক ও প্রকাশকের মধ্যকার সম্পর্ক হোক আরও দৃঢ়।

লেখকঃ আলেম, লেখক ও কলেজ শিক্ষক

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ