শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


শায়েখে চরমোনাইর ব্যাংক হিসাব তলব: ইসলামী আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এ বিষয়ে আওয়ার ইসলামকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ব্যাংক হিসাব তলবের বিষয়টা আপনি যেমন খবরে জানতে পেয়েছেন তেমনি আমিও খবরে মাধ্যমে জানছি, এ বিষয়টি তো নতুন না এর আগেও আমাদের আমিরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এছাড়া মহাসচিবের ব্যাংক হিসাবও তলব করা হয়েছে। তবে তারা কি পেয়েছে সেটা তো জানি না।

আমাদের সমাজে যারা মানুষ, দেশের অন্যায় দূর্নীতির, প্রশাসনের বিপক্ষে কথা বলে এছাড়া সরকারে কাজে বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে তাদেরকেই হয়রানি করে সরকার। তবে যারা আসলে দেশের জনগনের অর্থ মেরে খাচ্ছে অন্যায় দূর্নীতি করছে তাদেরকে কিছু করছে না বরং প্রশয় দিচ্ছে সরকার। এটাই হলো সরকারের চরিত্র।

ব্যাংক হিসাব তলব করলেই কি ইসলামিক আন্দোলন কোনঠাসা হয়ে যাবে, ইসলামিক আন্দোলনে নেতৃত্ব এ যারা রয়েছে তারাই রাষ্ট্রের আইন সবচেয়ে বেশি মেনে চলছে। এছাড়া আমাদের মধ্যেই সবচেয়ে সচ্ছলতা রয়েছে। কোনঠাসা করা মানে কি সরকার তো বিভিন্ন ভাবেই ইসলামিক আন্দোলনকে চাপে রাখার চেষ্টা করছেন। তাই নয় চাপেও রাখছেন।

-এটি

ইসলামিক আন্দোলনকে এভাবে দমানো যাবে এটা যারা ভাবছে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। আমরা তো এমন নয় যে ফাঁদে আছি তাহলে ফাঁদে ফেলাবে।

আমার এ বিষয়ে প্রতিবাদ করছি মিডিয়াকেও জানিয়েছি। যারা লুটপাত করে ব্যাংককে দৌওলিয়া করছে এছাড়া ঋণখেলাপিতে যারা রয়েছে এদের নিয়ে তাদের কোন আগ্রহ নেয়। যারা সুইচ ব্যাংকে টাকা পাচার করছে এদেরকে সন্ধান করছে না কেন তারা। আজকে দেশের অর্থনীতি কাদের কারণে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে?

ব্যাংকের সাথে আলেম-ওলামাদের সম্পর্ক কম, তবে ব্যবসা করার জন্য ব্যাংকের সাথে লেনদেন রাখতে হয়। তবে এছাড়া তাদের প্রয়োজন হয় না।

এর আগে গতকাল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠি পাওয়ার ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অ্যাকাউন্টে লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকে ফয়জুল করিমের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তা জানাতে হবে। অ্যাকাউন্টে শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী, জমা স্থিতি, কেওয়াইসিসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে থাকলে সে তথ্যও জানাতে হবে।

বিএফআইইউর চিঠিতে অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়ার কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ বক্তব্যও দিতে চাননি।
সাধারণত কারও বিরুদ্ধে অর্থপাচার, মানি লন্ডারিংসহ কোনো অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যাংক তার হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। আবার অনেক সময় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা অন্য সরকারি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেও তথ্য চাওয়া হয়।

বিএফআইউর চিঠিতে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি। তার পিতা প্রয়াত সৈয়দ মো. ফজলুল করিম এবং মা মোসাম্মৎ আলমতাজ বেগম। তার পিতা ফজুলুল করিম ছিলেন মূলত চরমোনাই পীর।

-এটি


সম্পর্কিত খবর