শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে ব্যক্তিগত সহযোগিতার আবেদন, যা জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| আদিয়াত হাসান ||

দেশের অসহায় মানুষদের সহযোগিতায় দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। সেই আস্থার জায়গা থেকে অনেকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করছেন সংস্থাটিতে। তবে এই ব্যক্তিগত সহযোগিতার আবেদনগুলো যাচাই করার মতো লোকবল এবং বাস্তবায়ন করার মতো পর্যাপ্ত ফান্ড আপাতত সংস্থাটির কাছে নেই বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

তিনি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে ব্যক্তিগত অর্থ-সহায়তা, ঋণ পরিশোধ, চিকিৎসা-সহায়তা ও করজে হাসানার আবেদন প্রসঙ্গে স্যোশাল মিডিয়ায় দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, অনেকে আমাদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন। তাদেরকে সবিনয়ে জানাচ্ছি, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে ব্যক্তি-কেন্দ্রিক সহযোগিতা করা সম্ভব হয় না। ব্যক্তিগত সহযোগিতার আবেদনগুলো যাচাই করার মতো লোকবল এবং বাস্তবায়ন করার মতো পর্যাপ্ত ফান্ড আমাদের কাছে নেই। এছাড়া রয়েছে আরো নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা।

তিনি বলেন, মূলত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রকল্প ভিত্তিক চ্যারিটি কার্যক্রম পরিচালনা করে। কোনো প্রকল্প গ্রহণ করলে তার উন্মুক্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রকল্পের ধরন অনুযায়ী ক্যাটাগরি ভিত্তিক সহযোগিতা করা হয়। যথাযথ শর্ত পূরণ হলে যে কেউ সে প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে পারেন। ইতোমধ্যে যেসব প্রজেক্ট আমরা বাস্তবায়ন করেছি, তার বিবরণ দেখলে আমাদের কার্যক্ষেত্র সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যাবে। ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে আমাদের সকল প্রকল্পের বিবরণ রয়েছে।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রকল্প গৃহীত হবে ইন-শা-আল্লাহ। এর প্রাথমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হয়তো আরো কিছুটা সময় লাগবে। এই বিষয়ে যথাসময়ে উন্মুক্ত ঘোষণা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার স্বপ্নও আমাদের রয়েছে।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, এছাড়া অনেকে আমাদের কাছে ঋণ চেয়ে আবেদন করেন। ঋণ প্রদান প্রকল্প নিয়ে কাজ করার জন্য আমরা অনুমোদিত নই। এছাড়াও আছে নানা ধরণের সীমাবদ্ধতা। তবে খু্‌ব শিগগিরই বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে আরো বড় পরিসরে প্রশিক্ষণ ও উপার্জন উপকরণ প্রদানের প্রকল্প আমরা শুরু করতে যাচ্ছি ইন-শা-আল্লাহ।

সবশেষে তিনি বলেন, প্রত্যেক মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে আমাদের অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু সেই সুযোগ না থাকায় আমরা দুঃখিত। আমাদের সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ইন-শা-আল্লাহ এক সময় হয়ত আমরা ব্যক্তিগত আবেদনগুলো নিয়েও কাজ করতে পারবো। মহান আল্লাহ সেই তাওফীক দান করুন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর