মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫


ফিলিস্তিনকে মর্যাদার আসনে বসালো কাতার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাঈয়েদা হাবিবা: আগামী ২০ নভেম্বরে শুরু হচ্ছে ২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকেট বুকিং ও হসপিটালিটি (আতিথেয়তা) প্যাকেজের জন্য যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাতে ইসরায়েলকে আলাদা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

ইসরায়েলের ফুটবলভক্তরা যদি কাতারে ভ্রমণ করতে চায় তাহলে তাদেরকে দেশ হিসেবে অবশ্যই ফিলিস্তিনকে বাছাই করতে হবে। তা না হলে টিকেট কাটাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন না তারা। বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিট বুকিং ও হসপিটালিটি বিক্রি করছে উইন্টারহিল হসপিটালিটি।

আরব নিইজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব ফুটবল ভক্তরা টিকেট বুকিং ও হসপিটালিটি তালিকা থেকে ইসরায়েলের নাম বাদ দেওয়া ও ফিলিস্তিনের নামে তাদের টিকেট কাটার বিষয়টিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাগত জানিয়েছে। অনেকে আবার বলেছে এটা কাতারের সাহসী ও সঠিক পদক্ষেপ।

এক আরব ফুটবল ভক্ত টুইটারে বলেন, ইসরায়েলের নাম বাদ দেওয়ার জন্য কাতারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর দেশটির সরকারকে স্যালুট।

লেবাননের ফুটবল ভক্ত আলি হালাউই বলেন, একটি আরব দেশ ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করছে এটা দেখে আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। তিনি আরব নিউজকে বলেন, কাতার ইসরায়েলিদের অস্তিত্ব স্বীকৃতি না দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা অবশ্যই প্রশংসিত। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে এই অজুহাতে অনেক টুর্নামেন্টে রাশিয়ার খেলয়াড়দের নিচ্ছে না। ইসরায়েলও তো দিনের পর দিন ফিলিস্তিনিদের উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। তাদের বিষয়ে তো কেউ-ই কিছু বলছে না। সুতরাং কাতারের এই উদ্দ্যোগ অবশ্যই প্রশংসিত।

কাতার শুধু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয় বিশ্বকাপ চলাকালে সমকামিতা ও অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের বিরুদ্ধেও শক্ত অবস্থান নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম প্রধান দেশটি জানায়, সমকামী ফুটবলপ্রেমী অতিথিদের নিরাপত্তা প্রদান করতে পারবে না তারা।

ইসরায়েল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের সাথে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় ইসরায়েলিরা কাতারে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু ফুটবল বিশ্বকাপ ইসরায়েলিদের সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী বিশ^কাপের একটি টিকেট কিনলেই কাতারের কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়া ইসরায়েলিরা কাতারে প্রবেশ করতে পারবে। ২০১৮ সালের আগে আবুধাবি বিভিন্ন খেলাধূলার ইভেন্টে ইসলায়েলিদের প্রবেশ ও পতাকা উত্তলণের অনুমতি দিয়েছিলো। এর মাধ্যমে আস্তে আস্তে দুই দেশের মধ্যে এক সময় কূটনৈতিক সম্পর্কও তৈরি হয়। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন কাতারের ক্ষেত্রে এমনটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ