বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

আননূর ছাত্র কাফেলার ১০০ তম সাহিত্য আসর ও কর্মশালা সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: জামিয়া ইসলামিয়া গহরপুর সিলেটের আননূর ছাত্রকাফেলার উদ্যোগে আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে আননূর সাহিত্য কর্মশালা। পরিশুদ্ধ মনন গঠনের স্বপ্ন নিয়ে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আননূর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা কার্যক্রমের ফাঁকে ফাঁকে নিয়মিত সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ ধারাবাহিকতায় আজ ছিল ১০০তম আসর।

জামিয়ার প্রিন্সিপাল ও আননূর সভাপতি হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন গহরপুরীর সভাপতিত্বে ও জামিয়ার শিক্ষক মুহাম্মাদ রাইহানের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন— বরেণ্য লেখক ও মুহাদ্দিস, মাওলানা মুহাম্মাদ যাইনুল আবিদীন।

পাঠের গুরুত্ব, শীলিত শব্দ চয়ন, মার্জিত আচরণ, গভীর জ্ঞান অর্জন, আদর্শ ব্যক্তিত্ব গঠন, উস্তাদের নেগরানীতে থেকে সাহিত্য চর্চা ও সার্বিক জীবন যাপন ইত্যাদি বিষয় তাঁর আলোচনায় ফুটে ওটে। তিনি বলেন; ছাত্র ভাইদের এতটাই পড়া উচিৎ যে, আপনার পরিচয়ে আপনার নামটাই যেনো যথেষ্ঠ হয়ে যায়।

“লেখালেখি কিভাবে শুরু করব” বিষয়ে আলোচনা করেন ঢাকা মেইলের যুগ্ম বার্ত সম্পাদক মাওলানা জহির উদ্দিন বাবর। তিনি বলেন, আননূরের মতো ছাত্র সংগঠন পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। আমি এখনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক সাহিত্য আসর করে ১০০তম আসরে পৌঁছাতে দেখিনি। আননূর তা সম্ভব করেছে। “লেখালেখি কিভাবে শুরু করব” বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথমেই আপনাদের লেখা ছাপা হয়ে যেতে হবে— এ মনোভাব দূর করতে হবে। আপিনে জাতির জন্য পরে লিখবেন। আগে নিজের জন্য লিখুন। লেখার হাতেখড়ি সম্পর্কে বলেন, দুর্বোধ্য শব্দ দিয়ে লিখতে যাবেন না। প্রথমে একেবারে সাধারণ শব্দ দিয়ে মনের ভাবকে ফুটিয়ে তুলতে হবে।

লেখার ক্ষেত্রে বানান অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক। বানান বিভ্রাটের কারণে অনেক লেখকের লেখা কাক্সিক্ষত মূল্যায়ন পায় না। এ বিষয়ে চমৎকার আলোচনা করেছেন বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের সম্মানিত সভাপতি মাওলানা মুনীরুল ইসলাম। তিনি অনেক উদাহরণ ও চাক্ষুষ বর্ণনার মাধ্যমে বানানের বিভিন্ন পার্থক্য ও নিয়ম সম্পর্কে ধারণা দেন।

মুসলিম উম্মাহকে “উম্মাতু ইক্বরা” বলা হয়। ইক্বরা ওয়াহীর প্রথম আদেশ। পড়া ছাড়া জাতির উন্নতি সাধন একরকম অসম্ভব। কর্মশালায় অংশ নেয়া ছাত্রদের উদ্দেশে “কী পড়ব, কীভাবে পড়ব” বিষয়ে কথা রাখেন আওয়ার ইসলাম ডটকমের সম্পাদক মাওলানা হুমায়ুন আইয়ূব। পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলতে তিনি ছাত্রদেরকে উৎসাহ যোগান। সিলেবাসের বাইরে অন্য বই পাঠের ক্ষেত্রে তিনি বলেন; অবশ্যই পাঠ্যবই সবার আগে স্থান পাবে। নিজের দৈনন্দিন রুটিন বজায় রেখে উস্তাদের তত্ত্বাবধানে অন্যসব বই পড়তে হবে। যদি আমরা ভালোভাবে না পড়ি, তাইলে আমাদের সুন্দর সিলেবাস কে তৈরি করবে? আমাদের আকাবির অনেক পড়েছেন, লিখেছেন— তাই আমরা আজ এত সুন্দর সিলেবাস পেয়েছি।

মনের ভাব বর্ণনার অনেক ধারা আছে। সাহিত্যের মানে উত্তীর্ণ হতে হলে সাহিত্যের রীতি অনুসরণ করতে হবে। গল্প, ফিচার, প্রবন্ধ ইত্যাদির মাধ্যমে পরিশীলিত সাহিত্যের বিস্তার ঘটানো সম্ভব। দৈনিক আমার বার্তা সম্পাদক মাওলানা মাসউদুল কাদির কথা বলেন গল্প ও ফিচার বিষয়ে। তাঁর আলোচনায় এ বিষয়ের সহজ পাঠ উঠে আসে।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন জামিয়ার শিক্ষাসচীব মুফতি আনোয়ার হুসাইন শরিয়তপুরী। আননূরের এমন আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আননূর সভাপতির প্রশংসা করেন। এমন আয়োজন বারবার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে প্রধান অতিথি মাওলানা মুহাম্মাদ যাইনুল আবিদীন সাহেবের দোয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ