শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


কুরবানির টাকা বন্যা দুর্গতদের মাঝে দেওয়া বিষয়ে ইসলাম কি বলে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কুরবানি জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের অন্যতম মৌলিক বৈশিষ্ট্য। ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। মহান আল্লাহ তায়ালার অত্যন্ত পছন্দনীয় ইবাদাত।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তীও না হয়।’ [সহিহ ইবনে মাজাহ, হাদিস নং:২৫৩২]

পবিত্র কুরআনুল কারিম আর হাদিসে নববির অসংখ্য রেফারেন্সে, হাওয়ালাতে এটা দ্ব্যার্থহীনভাবেই বলে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেকটা সামর্থবান ব্যক্তিকে অবশ্যই অবশ্যই কুরবানি দিতে হবে।

কুরবানি অবশ্যকরণীয় একটা কাজ। মহান আল্লাহ কুরবানি সেসব ব্যক্তিদের উপর ফরজ করেছেন, যাদের কুরবানির করার সামর্থ আছে। আর যাদের সামর্থ আছে তাদের বানভাসি মানুষদের সাহায্য করারও সামর্থ আছে। কুরবানি ১ লাখ বা ২ লাখ টাকা দামের পশুতে করতে হবে এমনটা জরুরি নয়। লোক দেখানো পাঁচ লাখ টাকা দামের উট কুরবানি করাটাও বাধ্যতামূলক নয়।

এ ক্ষেত্রে বিশ বা দশ হাজার টাকা দামের ছাগল কুরবানি করে আপনার ফরজ আদায় করতে পারেন। বাকি টাকা বন্যা দুর্গত লোকদের সহায়তা করতে পারেন।

এমন বিকল্প পথ থাকতে কুরবানি বাদ দিয়ে সেই টাকা বন্যার্তদের দেয়ার আহ্বান পুরোই বোকামির পরিচয় এবং উদ্দেশ্যপূর্ণ।

লেখক গবেষক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ এ বিষয়ে সম্প্রতি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, বন্যাদুর্গতদের-কে 'পয়সাওয়ালা'দের পক্ষ থেকে কোরবানির টাকা দান করার নিউজ (ঘোষণা) আসছে। এইসব 'পয়সাওয়ালা'দের তো অনেক রকম অপচয় খাত থাকে, আকাম-কুকাম খাত থাকে, নেশা-ফুর্তির খাত থাকে। সেখানে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়।

বছরে একবারের ওয়াজিব কোরবানির ৫০ হাজার/এক লক্ষ টাকা দান করার প্রয়োজন পড়লো কেন? চাইলে তো আকাম-কুকাম বন্ধ করে সে খাতের কিছু টাকা বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারে। সেই টাকা বিলিয়ে দিলে ১০/২০ বছর কোরবানি করার টাকার সমান হয়ে যায়।

আসলে এসব 'পয়সাওয়ালা'দের এবং যারা এসব প্রচার করে তাদের মাকসাদ ঢং করা, দান করা নয়। এরা দৃশ্যমান 'পয়সাওয়ালা', কিন্তু কলিজার ভেতরে 'আপাদমস্তক ফকিন্নি'।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ