শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


ছাত্রদলের মাধ্যমে বিএনপির আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে: খন্দকার মোশাররফ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজপথে ছাত্রদলের মাধ্যমে বিএনপির আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ‘শান্তিপূর্ণ মিছিলে’ ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানাতে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়ার সময় ছাত্রদলের মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। হামলায় সংগঠনটির অন্তত ৩০ নেতা-কর্মী আহত হন। পরে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ হলের সামনে ও দোয়েল চত্বরে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেয় ছাত্রদল। ছাত্রলীগ পাল্টা ধাওয়া দিলে ছাত্রদল ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। গতকাল বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে।

বিএনপির সমাবেশে সম্প্রতি ছাত্রদলের ‘শান্তপূর্ণ মিছিলে’ হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের শুরু করা আন্দোলনে সবাইকে এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক নেতাকে হটানোর উদাহরণ টেনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণের সমর্থন থাকলে কেউ গুন্ডামিতে যায় না। আপনাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এ দেশের মানুষের সন্তান। ছাত্রদলের সঙ্গে বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলো রয়েছে।

হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বজিৎ, আবরারের মতো অনেককে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। যারা প্ররোচনা দিচ্ছেন, তারা বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার। তাদের কোনো কমিটমেন্ট নেই।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠি, হকিস্টিক ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের জায়গা না হলে প্রশাসনের জায়গা সারা বাংলাদেশে হবে না বলেও মন্তব্য করেন এ বিএনপি নেতা।

শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়ে আমানউল্লাহ আমান বলেন, পদত্যাগ না করলে গণভবন থেকে জনগণ বের করে নিয়ে আসবে। ১৯৯০–এর মতো ঢাকার মাটিতে আরেকটি গণ-অভ্যুত্থান হবে। শুধু প্রতিবাদ নয়, নেতা-কর্মীদের প্রতিরোধের প্রস্তুতি রাখতে হবে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ