বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


সেকেন্ডে সেকেন্ডে লক্ষ-লক্ষ নেকি অর্জনের সুযোগ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাফেজ মাওলানা আব্দুল মাজীদ মামুন রাহমানী।

প্রস্তুতি নিতে হবে সেদিনের জন্য, যেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই থেকে নিজের মাতা-পিতা থেকেও। এমনকি নিজের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকেও। প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সূরা আবাসা, আয়াত নং-৩৪-৩৭।

দিবসটির Horror বা ভয়াবহতা এত বেশি হবে, সেদিন প্রত্যেক Breastfeeding বা স্তন্যদাত্রী বিস্তৃত হবে তার Dairy বা দুগ্ধপোষ্য শিশু কে, প্রত্যেক Pregnant বা গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে, মানুষগুলোকে মনে হবে Intoxicated বা নেশাগ্রস্ত অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়। মূলত দিবসটির Horror বা ভয়াবহতা এবং আল্লাহর Punishment বা শাস্তি প্রত্যক্ষ করাই এ অবস্থার সৃষ্টি করবে। সূরা আল্ হাজ্জ আয়াত নং-২।

সেই Great Day বা মহান দিবসে নাজাত লাভের জন্য, ইহজগতের সময় গুলোকে কাজে লাগিয়ে সৎ কাজ করে Reward বা সাওয়াব ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা বাঞ্ছনীয়।

পূর্বাপর সকল গুনাহ মাফ হওয়া সত্ত্বেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয-ওয়াজিব ইবাদতের পাশাপাশি, এত বেশি নফল ইবাদত করতেন যে নামাজে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে তাঁর পা মোবারক ফুলে যেত। পূর্বাপর সকল গুনাহ মাফ হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলতেন أَفلا أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا অর্থাৎ আমি কি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কারি বান্দা হব না। বুখারী শরীফ হাদিস নং-১১৩০; মুসলিম শরীফ হাদিস নং-২৮১৯

অতএব, উম্মতের জন্য এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ফরজ-ওয়াজিবের পাশাপাশি, বেশি থেকে বেশি নফল ইবাদত ও তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করা উচিত।

সকল তাসবিহ-তাহলিলেরই Benefits বা উপকারিতা রয়েছে। তবে কিছু কালিমা ও দোয়া এমন রয়েছে,যেগুলো পড়তে হয়তো কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। কিন্তু এর দ্বারা অর্জিত হয় হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নেকি।

এ পর্বে ধারাবাহিকভাবে আমরা এমন কিছু ফজিলতপূর্ণ কালিমা ও দোয়া পেশ করব, যেগুলো সেই মহান দিবসে আমাদের নাজাত ও উচ্চ মর্যাদা লাভের কারণ হবে, ইনশাআল্লাহ।

১. নিম্নোক্ত তাসবিহটি তিনবার পাঠ করলে অর্ধ দিনব্যাপী তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করার চেয়েও অধিক সওয়াব পাওয়া যায়।

سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ

উচ্চারণঃ-সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আদাদা খালক্বিহি, ওয়া রিদা- নাফসিহি, ওয়া যিনাতা আরশিহি ওয়া মিদা-দা কালিমাতিহি।
অর্থঃ- আমি আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা জ্ঞাপন করছি, তার অগণিত সৃষ্টির সমান, তার সন্তুষ্টি, তার আরশের ওজনের পরিমাণ ও তার কালেমার (কালির) সংখ্যার পরিমাণ।" মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-২৭২৬; তিরমিজি শরীফ হাদিস নং-৩৫৫৫; নাসায়ী শরীফ হাদিস নং-১৩৫২; আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং-১৩৪৭; ইবনে মাজাহ শরীফ, হাদীস নং-৩৮০৮।

২. যে নিম্নোক্ত কালিমাটি ১০ বার পাঠ করবে তাঁর জন্য ৪০ লক্ষ নেকি লেখা হবে।
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ إِلَهًا وَاحِدًا أَحَدًا صَمَدًا لَمْ يَتَّخِذْ صَاحِبَةً وَلاَ وَلَدًا وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণঃ-আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু ইলাহান ওয়া-হিদান আহাদান সামাদান। লাম ইয়াত্তাখিয সা-হিবাতান ওয়ালা ওয়ালাদান। ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদুন।

অর্থঃ-আমি শাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি একমাত্র উপাস্য এবং একক সত্তা, তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ, তিনি গ্রহণ করেননি কোন স্ত্রী এবং কোন সন্তান। তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং-৩৪৭৩; মুসনাদে আহমাদ,৪/১০৩; ত্ববরানী, হাদিস নং-১২৭৮; মুসনাদে সাহাবা ফিলকুতুবিত্তিসআ', ৪৪/১৮৩।

৩. নিম্নোক্ত দরুদ শরীফটি একবার পাঠ করলে ৭০ জন ফেরেশতা, ১০০০ দিন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পাঠকারীর জন্য সাওয়াব লিখতে থাকে। جَزَى اللَّهُ عَنَّا مُحَمَّدًا مَا هُوَ أَهْلُهُ উচ্চারণঃ- জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা-হুয়া আহলুহু।

অর্থঃ- আল্লাহ তা'আলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমাদের পক্ষ থেকে এমন প্রতিদান দান করুক, যেমন প্রতিদান পাওয়ার উপযুক্ত তিনি। সহীহ আততারগীব ওয়াত তারহীব, ১/২৬০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদিস নং-১৭৩০৫; আবু নুআইম ফী হিলয়াতিল আউলিয়া, মুসনাদে শামিয়্যীন, লিত্ত্ববরানী, হাদীস নং-২০৭০। আবু নুআইম ফী হিলয়াতিল আউলিয়া, ৩/২০৬।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ