আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জ্বালানি তেল ও ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধির পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বী উর্ধগতির মধ্যেই নতুন করে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৩ টাকা ৩৯ পয়সা বৃদ্ধির প্রস্তাবকে জনগনের রক্তচোষা সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, সরকারের ব্যর্থতায় গত ১০ বছরে সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। যা বাংলাদেশের দুটি বাজেটের সমান।
তিনি বলেন, দেশে উন্নয়নের নামে দুর্নীতিবাজরা রাষ্ট্রের সম্পদ বিভিন্নভাবে হরিলুট করে আঙ্গুল ফুলে বটগাছ বনে গেছে। তাদের দুর্নীতি বন্ধ না করে ২/৩ মাস পর পর মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগনকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এতে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন অপূরণীয় থেকে দেশের ভবিষ্যৎ রসাতলে যাবার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থার পরিত্রাণের জন্য সর্বাগ্রে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ, অপচয়, টেন্ডারবাজির মাধ্যমে রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি বন্ধ করতে হবে।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ, অপচয়, টেন্ডারবাজির মাধ্যমে রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি বন্ধ করে এর সাথে জড়িতদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত না করে বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, পাইকারি রেটে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩ টাকা ৩৯ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। অন্যদিকে এ প্রস্তাবের বিপরীতে ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ অর্থাৎ ২ টাকা ৯৯ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কারিগরি টিম।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার দুর্বিষহ যন্ত্রণা, ভোজ্যতেলসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জনগণের ওপর নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে চিহ্নিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সব ধরনের উৎপাদন ব্যবস্থা, যোগাযোগসহ জনজীবনের সব ক্ষেত্রে নৈরাজ্য নেমে আসবে। মানুষ এমনিতেই পরিবার-পরিজন নিয়ে নানা সংকটে দিন কাটাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা বিদ্যুতের প্রস্তাবিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
এনটি