বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫


জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের আবহেই কুতুব মিনারে খনন কার্যের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই প্রকাশ্যে এল আরেক চাঞ্চল্যকর ঘোষণা। কুতুব মিনার অঞ্চলে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার।

শনিবার দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ জনের একটি দল নিয়ে কুতুব মিনার চত্বর পরিদর্শনে যান। এলাকা পরিদর্শন করার পরেই এএসআইকে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেন তথ্য সচিব। এছাড়া ওই চত্বরে যেসব মূর্তি পাওয়া গেছে, তার আইকনোগ্রাফি করতে হবে।

পরিদর্শকদের দলে ছিলেন তিনজন ইতিহাসবিদ, চারজন এএসআই কর্মকর্তা। এছাড়া কয়েকজন গবেষকও ছিলেন।

জানা গেছে, আপাতত কুতুব মিনারের দক্ষিণ দিক থেকে খোঁড়ার কাজ শুরু করা হবে। খনন কাজ চালাতে হবে মিনার থেকে ১৫ মিটার দূরে। তবে কতদিনের মধ্যে এই কাজের রিপোর্ট পেশ করতে হবে, সেই বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি বলেই জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের পরে কুতুব মিনার চত্বরে কোনো খনন কাজ চালানো হয়নি।

সাম্প্রতিক অতীতে এএসআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা ধরমবীর শর্মা বলেছিলেন, কুতুব মিনার তৈরি হয়েছিল রাজা বিক্রমাদিত্যের আমলে। তিনি সূর্যের আলো দেখে দিক নির্ধারণ করার জন্য বানিয়েছিলেন এই মিনার। এছাড়াও ওই চত্বর থেকে কৃষ্ণ, গণেশসহ বেশ কিছু দেব-দেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি জানিয়েছিল, কুতুব মিনারের নাম পরিবর্তন করে বিষ্ণু স্তম্ভ করতে হবে। তাদের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছিল, ২৭টি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে তৈরি করা হয়েছিল কুতুব মিনার। সব মিলিয়েই এএসআইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাটি খুঁড়ে অনুসন্ধান চালাতে।

কুতুব মিনার ছাড়াও আরো দুটি জায়গায় খনন কাজ চালাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মেহরৌলির লালকোট কেল্লা এবং আনঙ্গতাল অঞ্চলে খনন কাজ চলবে। ইতোমধ্যেই জ্ঞানবাপী মসজিদের জলাশয়ে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে।

সেই এলাকা সিল করে দেয়া হয়েছে। বিতর্কের আবহেই এই ঘোষণার পরে মনে করা হচ্ছে, জ্ঞানবাপীর মতোই বিস্তারিতভাবে অনুসন্ধান চালান হতে পারে কুতুব মিনারেও।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ