শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


হাইয়াতুল উলিয়ার মহিলা শাখায় ১ম, ২য়, ৩য় যারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।কাউসার লাবীব।।

আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ১৪৪৩ হিজরি/২০২২ খ্রিস্টাব্দের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় মহিলা শাখায় মেধা তালিকায় ১ম হয়েছে জামিয়া নিয়ামতিয়া কওমি মহিলা মাদরাসা ও হেফজখানা যশোরের মোছা: হুমাইরা মারজান (রোল নং ২২১০৭, প্রাপ্ত নাম্বার ৮৮৫)। ২য় হয়েছে বাইতুল ফালাহ মহিলা মাদরাসা বন্দর নারায়ণগঞ্জের মোসাম্মৎ মারজিয়া আক্তার রিসা (রোল নং ০৬১৬০, প্রাপ্ত নাম্বার ৮৮০)। ৩য় হয়েছে মিফতাহুল জান্নাত মহিলা মাদরাসা গলগণ্ডা, মোমেনশাহীর ছাদিয়া মারজান (রোল নং ১৪৬৫৮, প্রাপ্ত নাম্বার ৮৭৭)।

প্রসঙ্গত, আজ (১৯ মে) বৃহস্পতিবার ফলাফল ঘোষণা করেন হাইআতুল উলইয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাসান। সভায় উপস্থিত ছিলেন হাইয়াতুল উলইয়ার কো-চেয়ারম্যান মাওলানা সাজিদুর রহমান, সদস্য আল্লামা ফরিদউদ্দিন মাসউদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি ফয়জুল্লাহ, হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন আহমদ গহরপুরী, মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুরী, মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা শামছুল হক, মাওলানা আব্দুল হালিম বোখারী, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা জিয়া উদ্দিন, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, হাইয়াতুল উলইয়ার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুহাম্মদ ঈসমাইল বরিশালী, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ যুবায়ের, ভারপ্রাপ্ত পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আমিনুল হক, অফিস সম্পাদক মাওলানা অছিউর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ব্যাক্তিগত ফলাফর হাইয়াতুল উলইয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে। সেখানে নিবন্দন নং ও রোল নংদিতে হয়। এসএমএস-এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় পরীক্ষার রেজাল্ট জানতে হলে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে বড় হাতের অক্ষর এ লিখতে হবে HTR। এরপর স্পেস দিয়ে শিক্ষার্থীর রোল নাম্বার লিখে সেন্ড করতে হবে ২৯৯৩৩ এই নম্বরে। এছাড়া ফলাফল দেখার জন্য শিক্ষার্থীরা ভিজিট করতে পারেন হাইয়াতুল উলইয়ার ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ।

এবারের পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২৪৯২৯। ছাত্র সংখ্যা ১৫০৩৬ জন, ছাত্রী ৯৮৯৩ জন। বেফাকুল মাদারিসিলি আরাবিয়া বাংলাদেশর পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২০৮৮৬। আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১৩২০। তানযীমুল মাদারিসিল কওমিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৯৭০। ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৭৬০। বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫৫৮। বেফাকুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪৩৫। হাইআতুল উলইয়ার অধীনে মাদরাসাসমূহকে পরীক্ষা গ্রহণের সুবিধার্থে সারাদেশকে ৩৩টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। মোট ২৩১ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর ছাত্র কেন্দ্র সংখ্যা ৯৩ টি। ছাত্রী কেন্দ্র সংখ্যা ১৩৮ ছিলো। প্রত্যেক কেন্দ্রে গড়ে ৪/৫ জন করে নেগরান ছিলেন। বড় কেন্দ্রগুলোতে ৩০ জন করে নেগরান ছিলেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের ২০১৮ সালের ৪৮ নম্বর আইনে সরকার ২০১৮ সালে ১১ এপ্রিল এই বোর্ডের অধীনে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে (ইসলামী শিক্ষা ও আরবি) মাস্টার্সের সমমান প্রদান করা হয়। বর্তমানে কওমি মাদরাসার ছয়টি বোর্ড আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে নিবন্ধিত। বোর্ডগুলো হলো- বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা, আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ, তানযীমুল মাদারিসিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ