শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ভ্রমণপিপাসু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তরিকুল ইসলাম মুক্তার।।

ভ্রমণ মানুষকে প্রফুল্ল করে। আল্লাহ তাআলা নির্দশন সরূপ দুনিয়াতে অনেক নাজ নিয়ামত দান করেছেন তার বান্দাদের জন্য।
স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য জানার জন্য ভ্রমণের বিকল্প নেই। একমাত্র ভ্রমণই স্রষ্টার সৃষ্টিরহস্য জানায়, ভ্রমণ আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।’ ভ্রমণের মাধ্যমে জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধি পায়। অর্জিত হয় কিছু জানাশোনা আর কিছু অভিজ্ঞতা। তাই ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ভ্রমণ সবসময়ই আনন্দময় ও তৃপ্তিদায়ক হয়ে থাকে।

ভ্রমণের দ্বারা ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় জানা যায়। আমাদের পূর্বেকার ব্যক্তিদের দেখে শিক্ষা অর্জন করা যায়। পৃথিবীতে বিচরণ করলে বোঝা যায় আল্লাহর সৃষ্টির রহস্য। কি অপরুপ দৃষ্টি নন্দিত নিদর্শনবলী। আল্লাহ তাআলা এই পৃথিবীকে ও পৃথিবীর সব প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা প্রাকৃতিক সম্ভারে সমৃদ্ধ আমাদের দেশ। পৃথিবীতে যা কিছু সুন্দর সবই যেন আল্লাহ তাআলা প্রকৃতির মধ্যে ঢেলে দিয়ে তাকে করে তুলেছেন আকর্ষনীয় এক জিনিস। মনে হয় বিচিত্ৰবেশী এই প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্যে মিশে যেতে হাতছানি দিয়ে ডাকছে আমাদের। প্রকৃতিপ্রেমে উদ্বেলিত মন তাই ছুটে চলে দিকশূন্যপুরে অসীমের টানে।

সব কিছুই কৃত্রিম, প্রকৃতিই হল একমাত্র আল্লাহর তৈরি নিজস্ব শিল্প। পৃথিবী এবং আকাশ, বন , সমভূমি, হ্রদ ও নদী নালা, পর্বত এই সমস্তই হল সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষক, যা আমাদের উদারতার শিক্ষা দেয় যেটি কোনো পাঠ্যপুস্তকে লেখা থাকে না। প্রকৃতি বাঙ্ময় হয়ে ওঠে বসন্ত ঋতুতে, প্রকৃতির সবকিছুর মধ্যেই কোনো না কোনো আশ্চর্যজনক কিছু লুকিয়ে আছে।

সেই আনন্দ উপভোগ করতে ছুটে গেলাম বন্ধুর দাওয়াতে শরীয়তপুর। মাদারীপুর এলাকায় শরীয়তপুরে যেতে পার হতে হয় বিশাল পদ্মা নদী। আমার জীবনে এই প্রথম এত বড় নদী পার হয়েছি। নদী পার হওয়ার সময় এক অন্যরকম অনুভূতি নিজের মাঝে অনুভব হচ্ছে। কিছুটা আনন্দ মুক্ত বাতাসে বড় বড় ঢেউ এর কলতান এর আওয়াজ, আবার কিছুটা ভয় কখন জানি পানিতে পরে যাই। যদিও সাতার জানি।

মাওয়া ঘাট, পদ্মায় যাওয়ার মানেই হলো তাজা ইলিশ মাছের ঘ্রান। পদ্মার কাছে গেলাম আর আমাদের দেশের জাতীয় মাছ ইলিশ খাবো না তা কি করে হয়! সাথে ছিলেন নাজমুল, শরীফ, মাইমুন, উবায়দুল্লাহ ও সিরাজ। শুরু হলো একে অপরের সাথে কথাপোকন তৎক্ষণাৎ সবাইকে সাথে নিয়ে মজাদার ইলিশ খাওয়া হয়। তারপর ছুটে চললাম শরীফ ভাইয়ার বাসায়। আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই মেহমানদারী হলো রাতে। পরের দিন সকাল সকাল চলে যায় গোপালগঞ্জের সূর্য নগর মসজিদ দেখতে।

অতুলনীয় নকশায় সমৃদ্ধ করেছে গোপালগঞ্জের সূর্য নগর মসজিদ, গোপালগঞ্জের নামের সাথে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে মিলে মিশে একাকার হয়ে রয়েছে। এই মসজিদটি এখন সূর্য নগর ঐতিহ্যের অংশ। প্রকৃতপক্ষে এর নাম যাই হোক মসজিদটি গোপালগঞ্জসহ দেশ বিদেশের অনেকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। মসজিদটি দেখতে দেশ বিদেশের হাজারো মানুষ ভিড় জমায়। প্রতিনিয়তই এখানে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাঁর সমস্ত নাজনিয়ামত দেখার আরও তৌফিক দান করুন। আমিন

লেখক: শিক্ষার্থী জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদরাসা মিরপুর ঢাকা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ