আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভোক্তা পর্যায়ে ৪৫ আর কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা করার পক্ষে মত দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সোমবার সচিবালয়ে `বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়াট রিপোর্টার্স ফোরাম’ আয়োজিত সংলাপে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতি কেজি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ১৮ থেকে ২০ থেকে টাকা পড়ে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকের জন্য কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ২৫ টাকা ও ভোক্তা পর্যায়ে ৪৫ টাকা হলে সমস্যা হবে না। কৃষক ২৫ টাকার কমে দাম পেলে উৎপাদনে আগ্রহী হবে না।
তিনি বলেন, ঢাকার মানুষ ৪৫ কেজি দরে পেঁয়াজ কিনবে- এটা আমিও চাই; এটা অস্বাভাবিক না। অবশ্য পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা বা তার বেশি করার পক্ষে নন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, এ জন্য এখন থেকে মানুষকে সাশ্রয়ী হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বর্জন করতে হবে। দেশের কয়টি রাজনৈতিক দল মনে করছে- বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি হবে, কিন্তু তা কখনও হবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তেল-চিনি ডালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ৯০ শতাংশ আমদানি করে চাহিদা পূরণ করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারের দাম বাড়লে দেশের কিছু করার থাকে না। এ কয়েকটি পণ্য বেসরকারি সেক্টর আমদানি করে চাহিদা পূরণ করছে।
সয়াবিন তেলের বিষয়ে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত ‘ভুল’ ছিল স্বীকার করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানে ভোগ্য পণ্যের দাম যাতে বাড়তে না পারে, সেজন্য ব্যবসায়ীদের ওপর বিশ্বাস করা হয়েছিল। কিন্তু রমজান শেষ হওয়ার ১০ দিন আগেই বাজার থেকে সয়াবিন সরিয়ে নেয়া হয়, রমজান শেষে বৃদ্ধি হওয়া দামের আশায়। তাদের বিশ্বাস করা ভুল ছিল আর আমাদের সিদ্ধান্তও ভুল ছিল।
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি রমজানের মাঝামাঝি একটা দাম নির্ধারণ করে দিতাম, তাহলে এটা হতো না।
গম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাঁচটি বিকল্প উৎস থেকে গম আমদানির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইউক্রেইন থেকেও আমরা গম আমদানির উদ্যোগ নেব।
ভারত রপ্তানি বন্ধ হলেও তাদের থেকে গম পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করে টিপু মুনশি বলেন, সেদেশের সরকার বলেছে, তাদের প্রতিবেশী দেশের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি অন্যভাবে নেবে।
-এটি