বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

আল আমীন আজহারের কবিতা: হে মদিনাওয়ালা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হে মদিনাওয়ালা!
আল আমীন আজহার

আমি বারবার, বহুবার যেতে চেয়েছি
তোমার শহরে- হে মদিনাওয়ালা!

কিন্তু তারা আমাকে যেতে দেয়নি।

আমি চেয়েছিলাম-
তোমার শহরের মখমল বায়ুতে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেব,
তোমার নগরের গোধূলি নামা সন্ধ্যায়-
একটি রাত পোহাবো।
আমি চেয়েছিলাম-
তোমার শিওরে দাঁড়িয়ে প্রাণভরে সালাম দিব
কিন্তু হে মদিনাওয়ালা! তারা আমাকে যেতে দেয়নি!

আমি চেয়েছিলাম-
হেরা পর্বতের সেই অন্ধকার গুহায়
ঐশী আলোতে ইকরার ধ্বনিতে প্রতিধ্বনিতে মুখরিত হবো,
তায়েফের ময়দানে
আঘাতে আঘাতে তোমার বদন থেকে ঝরে পড়া
পবিত্র খুনের ঘ্রাণ নিব
আমি চেয়েছিলাম-
বদরের প্রান্তরে দাঁড়িয়ে দেখব -সেদিন
তলোয়ারের ঝলকানিতে কিভাবে সূর্যের আলো মলিন হয়ে গিয়েছিল
কিন্তু তারা আমাকে যেতে দেয়নি হে মদিনাওয়ালা!
পথ রোধ করে আমাকে আটকে দিয়েছিল!

আমি চেয়েছিলাম-
তোমার হেঁটে চলা পথের ধুলো মেখে কোটি প্রাণের ভিড়ে আমিও পবিত্র হব
স্বপ্ন দেখেছিলাম-
আমিও পান করবো সুফফা নগরীর আবে জমজম
কিন্তু আমার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি!
আমার কোন আশা পূরণ হয়নি!
তারা আমার কোন আশায় পূরণ হতে দেয়নি।

তারা আমার সব পথ রোধ করে দিয়েছিল-
পানিপথের জলযানগুলো আক্রোশের হাতুড়ি পিটিয়ে তলিয়ে দিয়েছিল,
আকাশপথের উড়ন্ত বিমানগুলোকে
হিংসার অনলে জ্বালিয়ে ভষ্ম করে দিয়েছিল,
তারা স্থলপথের যন্ত্রগুলোকেও রোলারের নিচে পিষে দিয়েছিল।
আমার হেঁটে চলার পথ রোধ করে
তারা রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুঁতে দিয়েছিল মাইন!

বিনিময়ে তারা সাজিয়ে দিয়েছিল-
পূজারীর মন্দির!
যেখানে-
গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে রোজ রোজ সাজানো হয়
অবৈধ সুখের বাসর,
বাজানো হয় পূজারীদের ধর্ম-জলাঞ্জলির সুখ বিলাসের গান
পূজারীদের উদ্দাম নৃত্যে ভারী হয়ে ওঠে বাসর মন্দিরের কলুষিত বায়ু!

তবুও তারা তোমার প্রেমের জারি গান গায়
আত্মপরিচয়ে তারা মন্দিরের পূজারী-খাদেম-বাউল।

তাদের সেই নির্লাজ কালো পঙ্কিলতায়
শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মরে গিয়েও আমি বেঁচে আছি
তোমার প্রেমের ভারী বর্ষণের অপেক্ষায়! হে মদিনাওয়ালা!

ধূ ধূ মরুর উত্তপ্ত সাহারা
তোমার প্রেমের ভারী বর্ষণে ঠিকই একদিন তৃপ্ত হবে।
সজীব হয়ে উঠবে হৃদয়ের তৃষিত আঙ্গিনা!

মদিনাওয়ালা!
সেই দিন সালাম দিব তোমার শিয়রে দাঁড়িয়ে।
প্রাণভরে সালাম দেবে সেইদিন তোমাকে!

হয়তো সেদিন কোন পূজারী থাকবে না!
মন্দিরগুলোও উজাড় হয়ে পড়বে পূজারীর অভাবে!
কিন্তু সেইদিন আসবে।
সেইদিন শোকবিলাসের গান শুনাবো।
তখন কেউ বাধা দেবে না।
বাধা দেওয়ার কেউ থাকবেনা।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ