শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


প্রথম আমীরুল মুমিনীন উপাধির অধিকারী হজরত উমর ফারুক রা. এর হৃদয় বিগলিত কিছু উপদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের

তিনি কসাইদের দোকানে দুররা নিয়ে ঘুরতেন৷ কাউকে পর পর দুই দিন গোশত ক্রয় করতে দেখলে তাকে দুররা লাগাতেন৷ এবং বলতেন, নিজের প্রতিবেশী ও প্রিয়জনদেক খাতিরে নিজের পেটকে সামান্য কষ্ট কেনো দিতে পারো না? নিজে সামান্য কষ্ট ওঠালে তারা আরামে থাকতে পারতো৷

একদা বলেন, যদি আমার মধ্যে হিসাবের ভয় না থাকতো, তাহলে আমার জন্যে বকরী ভূনা করার আদেশ করতাম৷ তাঁর যদি এক দেরহাম পরিমান মূল্যের কোন জিনিস ক্রয় করার প্রয়োজন দেখা দিতো, তখন এটি নিয়ে তিনি এক বছর চিন্তা-ভাবনা করতেন৷

একবার মিম্বরে ওঠে বলেন, আল্লাহ তায়ালার শোকর৷ তিনি আমাকে এমন বানিয়েছেন যে, আমার উপর কেউ হাকিম নেই৷ লোকেরা এই কথা বলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর দ্বারা আমার আল্লাহ তায়ালার শোকর আদায় করা উদ্দেশ্য৷ এই বলে তিনি মিম্বর থেকে নেমে পড়েন৷

তিনি বলতেন, আহ! আমি যদি দুম্বা হতাম৷ লোকেরা ইচ্ছেমত খেয়ে ময়লা করে বের করে দিতো, তবুও মানুষ না বানানো হতো!!

তিনি ঘোড়ায় চড়ে কোথাও যেতে হলে, তখন দাঁড়িয়ে বলতেন, এটিই দুনিয়া৷ যার প্রতি তোমাদের লোভ-লালসা৷ ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার ক্ষতি সহ্য করা, চিরস্থায়ী ক্ষতি সহ্য করার চেয়ে বহুগুণে ভালো৷

তিনি মাটি থেকে তৃণলতা হাতে নিয়ে বলতেন, আহ! আমি মানুষ না হয়ে যদি তৃণতলা হতাম! আমি যদি জন্ম না হতাম! আমার মা যদি আমাকে জন্ম না দিতেন! আমি যদি কিছুই না হতাম!

তিনি সকল কর্মচারীদেরকে বলেছিলেন, আমার কাছে তোমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো নামায৷ যে নামাযকে হেফাজত করলো, সে দীনকে হেফাজত করলো৷ আর যে নামাযকে বিনষ্ট করে দেয়, সে অন্যান্য কাজ সহজেই বিনষ্ট করে দিবে৷

তিনি বলতেন, সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো, ফরজ বিধানাবলী আদায় করা৷ নিষিদ্ধ কাজ সমূহ থেকে বিরত থাকা৷ এবং আল্লাহ তায়ালার সাথে নিজের নিয়তকে শুদ্ধ রাখা৷ সূত্র: আকওয়ালে সালফ

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ