শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


আদর্শ নারী হতে হলে যে চারটি গুণ থাকা অপরিহার্য।

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা মাকসুদুর রহমান সাইমন রশীদি। আদর্শ নারী বলতে কেমন মানুষকে বোঝায়? যিনি সারাদিন ঘর-সংসার সামলান তাঁকে? নাকি যিনি নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন? আজকালকার এই আধুনিক পৃথিবীতে আদর্শ নারী তিনিই, যিনি কিনা নিজের পরিবার, কাজ ও স্বপ্নের মাঝে চমৎকার সমন্বয় সাধন করতে পারেন।

একইসাথে সামলে নিতে পারেন সমস্ত পারিপার্শ্বিকতা। নিজেকে মাঝে মাঝে খুব ক্লান্ত মনে হয়? কিংবা ব্যর্থ মনে হয়? কিংবা নিজেকে আরও একটু গুছিয়ে তুলতে চান? তাহলে চলুন কিছু গুণাবলী সম্পর্কে জেনে আসি।

কোমলতা মানুষের সর্বোত্তম গুণের একটি হচ্ছে কোমলতা। কোমল চরিত্রের নারী পরিবারের জন্য আল্লাহর সীমাহীন নেয়ামত স্বরুপ।

সুন্দর আচার-আচরণ কোমলতার দ্বারাই প্রকাশ পায়। এক ব্যক্তি রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে ধংসের দুআ করেন অর্থাৎ আস-সামু আলাইকুম বলে।

তখন উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. সেই ব্যক্তি কে বদ দুআ করলে রাসূল সা. বলেন, হে আয়শা! নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা দয়া ও কোমলতা কে বেশি ভালবাসেন।

উত্তম ব্যবহারকারী হওয়া পৃথিবীতে সেই ব্যক্তিই সম্মানিত ও অনুকরণীয় আদর্শ যার ব্যবহার উত্তম। পরিবারের নারী যদি উত্তম ব্যবহারের অধিকারী হয়, তবে অবশ্যই তার থেকে পরিবারের সদস্যগণ উত্তম ব্যবহার শিখবে। আর উত্তম ব্যবহারকারীরাই কিয়ামতের
দিন আল্লাহর একান্ত নেক দৃষ্টি লাভ ধন্য হবে।

শোকরগুজারকারী হওয়া

পরিবার প্রতিপালনে ভালো- মন্দ, অভাব -অনাটন সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর শোকরগুজারকারী নারীর মর্যাদা অত্যধিক। যা দেখে পরিবারের ছোট্ট সোনা-মনিরা শোকরগুজার হতে শিখবে।

কিভাবে সর্বাবস্থায় আল্লাহর শোকর আদায় করতে হয়। তাইতো শোকরগুজারকারী নারী পরিবারের জন্য আল্লাহর রহমত।

আনুগত্যশীল হওয়া পরিবারের কর্তা ব্যক্তি পুরুষ হোক বা নারী হোক তার প্রতিটি কথা-বার্তা বিনয়ের সাথে মেনে নেয়াই হচ্ছে আনুগত্য। তাইতো পরিবারের আনুগত্যই হচ্ছে শান্তির একমাত্র পথ। আনুগত্য মেনে নেয়ার মাঝেই উন্নত নেতৃত্ব ও মননশীলতা তৈরি হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর