শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করে চাঁদাবাজিকালে গ্রেফতার ৩

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুরে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করে আটকে রেখে চাঁদাবাজিকালে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- কালুখালী উপজেলার সূর্যদিয়া গ্রামের আবদুল গণির ছেলে ইমরান হোসেন সবুজ (৩০), বালিয়াকান্দি উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে মো. রবিউল ইসলাম খুশি (৪০), কুরশী গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে মো. রমজান আলি।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার মোবারকদিয়া গ্রামের আবদুল হাকিম মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের আত্মীয় কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমানকে বাড়ি যাওয়ার জন্য রিয়াজ মাহমুদ তার মোটরসাইকেলযোগে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাগমারা স্ট্যান্ডে গত রোববার রাত আড়াইটার দিকে পৌঁছে একটি দোকানের সামনে দাঁড়ানো মাত্র ইমরান হোসেন সবুজ, রবিউল ইসলাম খুশি, রমজান আলী এসে তার পরিচয় জানতে চায়। মাহমুদ সরল বিশ্বাসে তার পরিচয় প্রদান করে।

সবুজ নিজেকে কালুখালী থানার এসআই হিসেবে পরিচয় দেয়, অন্য দুই সহযোগীসহ রিয়াজ মাহমুদকে মোটরসাইকেল নিয়ে সোনাপুর বাজারে আসে। সোনাপুর গ্রামের খুশির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। রিয়াজকে মারধর করে তার মায়ের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তার মা গরিব মানুষ বলে অনুরোধ করলেও রিয়াজকে মারধর করে কান্নাকাটি শব্দ শোনানো হয় মোবাইলে। রোববার সকালে তার মায়ের ফোনে ফোন করে রিয়াজকে মারধরের কান্নাকাটির শব্দ শোনানো হয়। পরে রিয়াজের মা ১০ হাজার টাকা ফোনে পাঠালে ওই টাকা রামদিয়া বাজার থেকে উত্তোলন করা হয়। বিষয়টি থানা পুলিশ জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম রিয়াজকে উদ্ধার করাসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিম রিয়াজকে উদ্ধার করাসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করে সোমবার রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিয়াজ বর্তমানে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর