শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


সকল মানুষের জন্য একটি ন্যায্য আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জরুরি: রাষ্ট্রপতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, একই বিশ্বের বাসিন্দা হিসেবে সকল মানুষেরই অভিন্ন দায়িত্ব রয়েছে এবং বিশ্বের সকল মানুষের জন্য একটি ন্যায্য আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জরুরি। তিনি বিভাজনের পথ পরিহার করে, হাতে হাত রেখে শান্তির পথে এক সঙ্গে চলার জন্য বিশ্বের সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

আজ শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড পিস কনফারেন্স-২০২১’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়-সংগত, অধিকার-ভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে বাংলাদেশের ‘অক্লান্ত প্রচেষ্টার’ কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা শান্তি বজায় রাখতে অত্যন্ত আন্তরিক এবং যে কোনো মূল্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা ও জোরদার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’

তিনি বলেন, দেশের সংবিধানের সাথে সংগতি রেখে, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, বিশ্বব্যাপী শান্তি বজায় থাকাই জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সর্বোত্তম সুরক্ষা এবং ‘আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংঘাতগুলোর সমাধান করতে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি বজায় রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’

বাংলাদেশ দুটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনা- বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত-বার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী এই ‘ওয়ার্ল্ড পিস কনফারেন্স’ এর আয়োজন করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই শান্তি সম্মেলনে বিশ্বের ৫০টি দেশের থিংক ট্যাংক প্রতিনিধি, লেখক, কবি, সংগীত শিল্পী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ভার্চুয়ালি ও সশরীরে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে বিশ্ব প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ মহামারি ও সংঘাতের মতো বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত আমরা একতাবদ্ধ হতে এবং পারস্পরিক শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে না পারব, তত দিন আমরা আমাদের সন্তান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য বিশ্ব নিশ্চিত করতে পারব না। এই বিশ্ব ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে।’

রাষ্ট্রপতি জাতি, বর্ণ ও ধর্মের ভিত্তিক সব ধরনের বৈষম্যের অবসান এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি বিশ্বের সর্বত্রই শান্তি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকা আমাদের জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজন। শান্তি আমাদেরকে সহিংসতা বা ভীতি থেকে স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়।’

-এটি


সম্পর্কিত খবর