শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


আলোচিত-সমালোচিত সভা নিয়ে যা বললেন হাফেজ নেছার আহমাদ আন নাছিরী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।। ফেসবুকে তুমুল আলোচিত-সমালোচিত সভা নিয়ে মুখ খুলেছেন যাত্রাবাড়ীস্থ মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার মহাপরিচালক শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী। তিনি বলেন, আমার সদ্য ফেসবুক পেইজে ১মিলিয়ন ও ইউটিউবে ১লক্ষ সাবস্ক্রাইব হলেও নিজের ফেইসবুক পেইজে একটি পোস্টও করিনি এবং অনুষ্ঠানের কোন ভিডিও বা পিকচার ফেসবুকে পোস্ট করেনি, অনেকে না বুঝে সমালোচনা করছেন।

ইসলামী সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক কলরবের আবু সুফিয়ান শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরীর সঙ্গে দেখা করতে তিনি এসব কথা বলেন। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার আবু সুফিয়ানের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ। গতকাল ২৬ অক্টোবর শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী সাহেবের মাদরাসার প্রধান কার্যালয় যাত্রাবাড়ীস্থ মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় গিয়েছিলাম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা হওয়া ফলোয়োর আর ইউটিউব সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে, যতটুকু জানলাম- মুলত তিনি কুরআন প্রতিযোগীতার অনুষ্ঠানের আগে এ বিষয় আলোচনা করতে গিয়ে বলেন যে, আমরা যারা অনলাইন ব্যাবহার করি, আমরা সবাই মিলে যদি কুরআন তিলাওয়াত/ওয়াজ /ইসলামী সংগীত ফেসবুক ইউটিউবে আপলোড করি, প্রচার করি, তাহলে কিন্তু অপসংস্কৃতি ধীরে ধীরে দুর হবে,যেটার মোকাবেলা যেটা দিয়ে করা উচিত আমরা সে পন্থা-ই বেছে নিতে হবে, তা নাহলে অপসংস্কৃতি দুর করা কঠিন হয়ে যাবে আমাদের জন্য, আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই ইউটিউব এবং ফেসবুকে যেন মানুষ গানের পরিবর্তে কুরআন তিলাওয়াত পায়, মানুষর সামনে দশটা গান চলে আসলে অন্তত ৫ টাও যেন কুরআনের তিলাওয়াত থাকে।

হাফেজ নেছার আহমাদ আন নাছিরী আরো বলেন ফেসবুক এবং ইউটিউবে আমার হাজারো পোস্টের মধ্যে একটি পোস্টও কুরআন ছাড়া নেই, আমি কুরআন প্রচারের জন্যই ফেসবুক এবং ইউটিউব ব্যবহার করি, তিনি বলেন আমার সদ্য ফেসবুক পেইজে ১মিলিয়ন ও ইউটিউবে ১লক্ষ সাবস্ক্রাইব হলেও নিজের ফেইসবুক পেইজে একটি পোস্টও করিনি এবং অনুষ্ঠানের কোন ভিডিও বা পিকচার ফেসবুকে পোস্ট করেনি,আমরা শুধু ঘরোয়াভাবে ফেসবুক ইউটিউবের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করছিলাম,যেহেতু এটা বড় একটি অনলাইন মাধ্যম, যারা ভুল বুঝে আলোচনা সমালোচনা করেছেন,তাদের মধ্যে এমনও আছে , যাদের ফলোয়ার মিলিয়ন হয় নাই; লাখ হয়েছে সেটাও ফেসবুকে পোস্ট করেছে, সামনেও হয়তো অনেকে করবে তাদের জন্য আমার শুভ কামনা রইলো।

তিনি লেন কারো প্রতি আমার কোন ক্ষোভ বা অভিযোগ নেই, কারন হিসেবে তিনি বলেন- ওয়াকফ ইবতিদা আয়াতে মুতাশাবিহাত, বিষয় ভিত্তিক তাহফিজ কুরআন যখন আমাদের ছাত্রদের বাহিরের দেশের প্রতিযোগিতার জন্য ছাপানো হয়েছিলো,তখন অনেকে অনেকভাবে সমালোচনা করেছেন, কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ অধিকাংশ হিফয মাদ্রাসায় এখন ওয়াকফ ইবতিদাসহ তাহফিজ কুরআন পড়ানো হয়, প্রাইভেট মাদরাসা যখন শুরু হয় তখনও আমার বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়েছে, এখন অনেকেই প্রাইভেট মাদরাসা করছে এবং আলহামদুলিল্লাহ ভালই চলছে, তাহফিজ টুপির বিরুদ্ধে অনেক লেখালেখি ফেসবুকে দেখেছি, আলহামদুলিল্লাহ অনেকেই এখন তাহফিজ টুপি পড়ছে, কুরআনের শান অনুযায়ী হিফজ খানা উন্নত করা, সিসি ক্যামেরা, এসি করা, বিত্তশালী সন্তানদের জন্য ভি আই পি, সি আই পির ব্যবস্থকরাসহ আমি যেগুলো প্রথম করতে চেয়েছি, সেই বিষয়গুলো নিয়ে সমলোচনা-আলোচনা হয়েছে।

আলহামদুলিল্লাহ আমি কিন্তু থেমে যায়নি কারন আমি জানি নতুন কিছু আপনারা করলে আপনার বিরুদ্ধে সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক,সিস্টেম-পদ্ধতি যেহেতু নাজিল হওয়ার সুযোগ নেই,কারো না কারো সিস্টম-পদ্ধতি চালু করতে হবে,নিচু রিহালের পরিবর্তে উঁচু রিহাল,ট্রাংকের পরিবর্তে আলমারী, খেতা বালিশের পরিবর্তে বেডিংসহ আরো অনেক কিছুরই এখন পরিবর্তন হয়ে হিফজখানাগুলো আধুনিকায়ন হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ তিনি আরও বলেন আমাদের হিফজ জগতটাকে আমাদেরই উন্নত করতে হবে বাহিরের দেশ থেকে কেউ এসে করে দিবেনা,আর কুরআন যেমন দামি, কুরআন পড়ানোর স্থানগুলোও তদ্রুপ উন্নত করা আমাদের দায়িত্তের মধ্যে পড়ে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ অক্টোবর বুধবার কক্সবাজারের হোটেল অস্টার ইকোতে অনুষ্ঠিত একটি সভা ঘিরে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, শায়েখ নেছার আহমদ আন নাছেরীর ফেসবুক পেজে এক মিলিয়ন ফলোয়ার ও ইউটিউবে ১০০ কে সাবস্কাইব পূর্ণ হওয়ায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ পোস্টারটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর