বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’ মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হলো বিয়াম'র চ্যাপ্টার কমিটি

হৃদয়ের আকুতিমাখা চিরকুট: হে সবুজ গম্বুজের অধিপতি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসমাঈল হাবীব ।।

হে সবুজ গম্বুজের অধিপতি! সোনার বাংলার এক সবুজপল্লী থেকে তোমায় বলছি—জোসনা বিধৌত পৃথিবীর স্বপ্নীল ছায়ায় বসে তোমায় লিখছি।ডায়েরীর পৃষ্ঠার ভাঁজে ভাঁজে তোমাকে দেখার কত আকুতি সযত্নে তুলে রেখেছি।

তোমাকে ভাবতে ভাবতে কত না ব্যকুল হয়েছে মন। কত রজনী ভোর হয়েছে স্বপ্ন দেখতে দেখতে এসব তোমাকে কিছুই বলা হয়নি!

এই বাংলায় দিবসে সূর্য জ্বলজ্বল করে, রাতে চাঁদ হাসে—বাঁকা ঠোঁটে। এখানে প্রত্যেহ পাখির ডাকে ভোর ওঠে—দিগন্তে দিগন্তে। সবুজের বুকে সূর্যের লালিমাভা প্রতিনিয়ত ডেকে যায়।পাহাড়ের বুক চিরে কলকল ছন্দে বয়ে যায় ছুটন্ত ঝরনা নদী মোহনায়।ছবির মতোন স্বপ্নীল মায়াবতী গ্রাম।

তবু যেন কিসের শূন্যতা এখানে ওখানে, শূন্যতায় ভরে গেছে দিগন্ত, মাঠ প্রান্তর।শূন্যতায় ছেয়ে গেছে আকাশ—পৃথিবী।এত এত বাহারী রঙের ছড়াছড়ি, এত এত পুষ্প—সুবাসের মিলনমেলা। এত ফুল পাখিদের আনন্দ—উৎসব, তবু হৃদয় ভীষণ তৃষ্ণার্ত, চোখমুখে একআকাশ সতৃষ্ণ চাহনি, এসব তোমার জন্য হে' প্রিয়! এই পুষ্প মালঞ্চে বসে বসে সকাল সন্ধ্যায় তোমার শূন্যতা অনুভব করি।

হে মানব হৃদয়ের বাদশাহ! প্রভুর অপার অনুদানে ভরে আছে এই বাংলার জমিন।প্রতিসন্ধ্যা অজস্র তারকা আকাশ দিগন্তে খুশিতে ঝলঝল করে। সাঁঝের আঁধারে থোকায় থোকায় জোনাকিরা আনন্দে মিছিল করে। নিঝুম শব্দে ডেকে যায় রাতের প্রকৃতিরা।কী আশ্চর্য নীরবতায় থেমে থেমে সুবহে সাদিক আসে এই বাংলা মুল্লুকে।

ভোরবিহানে কুসুমবাগে কত পুষ্পকলি ফুটে তোমার নামে, কোকিল পাপিয়ার মিষ্টিকন্ঠে কুহুরবে কত মধু ঝরে প্রতিদিন।সূর্যের লালিমাভায় রঙে রঙে ভরে ওঠে ভুবনমাতা, তবু এখানে কত অপূরণীয় সৌন্দর্য এখনো রয়ে গেছে! তোমার পদধূলির পায়নি বলে বাংলার মাটি আজো ভীষণ তৃষ্ণাতুর!

প্রিয়তম হে রাসুল। আমার সোনার বাংলায় দুধভরা চাঁদ আছে, সিতারাদের ঝিলমিলি মেলা বসে প্রতিরাতে, বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টির ছোঁয়ায় নেচে উঠে ঘুমন্ত প্রকৃতি। বৃষ্টির পতনে রোমাঞ্চিত বহয়ে ওঠে প্রাণমন। তোমার নামে প্রেমের সেতারে বেজে ওঠে কাব্যময় প্রাণ মাতানিয়া সুরসঙ্গীত।
সুর লহরির টানে আমার আকুল হৃদয় আরো ব্যকুল হয়ে ওঠে তোমার জন্য!

শেষরাতের অশ্রুকাতর চোখে মিনতিভরা মুনাজাতে শব্দরা এসে ভিড় করে মুখে, প্রেমের ছন্দ, আবেগ মথিত কন্ঠে জপতে থাকি তোমার নামের মধুময় দরূদ। তোমার দিদার লাভের স্বপ্নগুলো পুঞ্জীভূত বুকে লালন করে যাচ্ছি—সবক্ষণে।

হে সাকিয়ে কাউসার, দু'জাহানের সরদার! কত সৌন্দর্যে ভরে আছে কত সম্রাজ্য, কত অপরূপে রূপময় এ জগতকূল! তোমার অপরূপ সৌন্দর্যলীলা প্রতিনিয়ত রুপকথাকেও হার মানায়।তোমার জন্য হৃদয় আকুল হয় বারবার! প্রেমকাননে কত পুষ্প মল্লিক ফুটে দিনরাত, সৌরভ ছড়ায় তোমার নামে।আমার দু'চোখ তৃষিত, ভীষণ তৃষিত, তোমার দিদার লাভে। প্রিয়তম—হে' রাসুল! একবার যদি দেখা দাও স্বপ্ন কিংবা সংগোপন চিরধন্য হতো এ দুচোখ, চিরতৃপ্ত হবে মনোহৃদয়!

রোজ হাশরের আশাহত দিনে—জানি, আমরা ভীষণ তৃষ্ণার্ত হবো। ক্ষুধায় পেট লেগে যাবে পিঠে, চোখ বেয়ে নামবে গলগল অশ্রুধারা।সেদিন যেন তোমার 'উম্মতি' পরিচয়ে হাউজে কাউসারের পাড়ে দাঁড়াতে পারি।সে স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছি জনম জনম!

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ