বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :

পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিরসনে তরুণ আলেমদের পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিয়ে এবং ডিভোর্স শব্দ দুটি পাশাপাশি শুনে অভ্যস্ত হলেও একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। একেবারেই বিপরীতমুখি শব্দ। অতিরিক্ত রাগ, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া, অবিশ্বাস, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে না ভাবা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দ্বন্দ্ব-বিচ্ছেদ হয়ে থাকে।

নানাবিধ কারণে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিয়ে দ্বন্দ্ব-বিচ্ছেদের সংখ্যা যেন বেড়ে চলেছে। আর এটা এক পক্ষ থেকে হচ্ছে না। বিয়ে বিচ্ছেদে স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে পাঠাচ্ছেন তালাক নোটিশ। আবার অনেক ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সমঝোতায়ই হচ্ছে খোলা তালাক। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অমনোযোগ, স্বামীর হাতে স্ত্রী নির্যাতন, শ্বশুর-শাশুড়ির হাতে পুত্রবধূ নির্যাতন, পরকীয়ায় আসক্তি, স্বামীর মাদকাসক্তি, স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা এবং স্ত্রীর ভরণপোষণের অনীহাই এসব বিয়ে বিচ্ছেদের মূল কারণ। এ ছাড়া সামাজিক অস্থিরতা, মাদকাসক্তির প্রভাব, পরস্পরকে ছাড় না দেওয়ার মনোভাবও বিয়ে বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ।

পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও  বিচ্ছেদ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন তরুণ আলেমরা। তাদের পরামর্শকে কেন্দ্র করে পাঠকের জন্য আজকের প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছেন আওয়ার ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল্লাহ তামিম।।


এ বিষয়ে তরুণ আলেম মারকাযুশ শাইখ যাকারিয়া ঢাকার শিক্ষক মাওলানা ওমর ফারুক ইবরাহীমী বলেন, ‘একটি আদর্শ পারিবারিক জীবনে সৌহার্দ্য, সুখ-সমৃদ্ধি এবং পারস্পরিক স্নেহ-মমতাবোধ পূর্ণ মাত্রায় থাকা খুব জরুরি। পারস্পরিক ঝগড়াঝাটি, দ্বন্দ্ব-কলহ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ফিতনা-ফ্যাসাদ, কিংবা হিংসা-বিদ্বেষ কখনও কোন পরিবার কিংবা সমাজকে আর যাই হোক, শান্তি-শৃঙ্খলা উপহার দিতে পারেনা। আত্মকলহ, দ্বন্দ্ব-কলহ মানুষের জীবনে কেবলই অশান্তি আর বিশৃঙ্খলা ঘটায়। বিভেদ, অনৈক্য আর বিভক্তি নিয়ে আসে। পরস্পরের মাঝে হিংসা-বিদ্বেষ, শত্রুতা-বৈরিতা ও প্রতিহিংসাপরায়ণতা সৃষ্টি করে। পরিবার ও সমাজে গীবত, কুৎসা রটনা, ঠাট্টা-বিদ্রূপ, হিংসা-বিদ্বেষ, অপবাদসহ নিন্দনীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এতে মানুষের পারিবারিক জীবন চরম অতিষ্ঠ ও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠে। তাই ইসলাম কঠোরভাবে আমাদেরকে ঘৃণ্যতর এসব কাজ থেকে বিরত থাকার দিকনির্দেশনা দিয়েছে’ বলেন তিনি।

‘সুতরাং একজন শান্তিপ্রিয় ও সচেতন মানুষকে সব সময় পারস্পরিক হৃদ্যতাপূর্ণ আলাপ-আলোচনা এবং সমঝোতার ভিত্তিতে সংকট নিরসন ও সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করা এবং উভয় পক্ষের মাঝে ফলপ্রসূ সংলাপ, বাস্তবতা অন্বেষণ ও গঠনমূলকভাবে, একগুঁয়েমি পরিহার করে মীমাংসার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত।

তিনি আরো বলেন, ‘পাশাপাশি নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখলে আশা করা যায় আমাদের পারিবারিক এবং সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আত্মকলহ শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে ইনশাআল্লাহ’।

বিষয়গুলো:

১। নিজের মধ্যে বিনয় সৃষ্টি করা।

২। সর্বাবস্থায় সবর ও সহনশীলতার চর্চা করা।

৩। পরিবারের সবার মেজাজ ও মনমানসিকতা বুঝে আচরণ করা।

৪। 'ইছার' তথা অন্যকে ছাড় দেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করা।

৫। এক তরফা কেবল শ্রদ্ধা কিংবা ভালোবাসা নয় বরং উভয়টির মাঝে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করা।

৬। সুখ-দুঃখ মিলেই মানুষের জীবন, সুতরাং সুখস্মৃতিগুলো জীবনে ধারণ করে দুঃখ-বেদনা ভুলে যাওয়া।

৭। জীবনের একান্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেনসেটিভ বিষয়গুলোতে তৃতীয় কাউকে হস্তক্ষেপের সুযোগ না দেয়া।

এই পয়েন্টটি কিছুটা ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। যেমন ধরুন কখনো শয়তানের প্ররোচনায় নিজেদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে গেলো। আর আপনি হুট করেই এটা আপনার ফ্যামিলি কিংবা তৃতীয় কাউকে জানিয়ে দিলেন। এতে করে আপনার লাইফপার্টনারের আত্মমর্যাদায় যেমন আঘাত হানবে ঠিক তেমনি আপনাদের ভবিষ্যত জীবনে চরম অশান্তিও নেমে আসতে পারে। এমনকি তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের ফলে বহু সুখী দাম্পত্য-জীবনের ইতি ঘটতেও দেখা গেছে। সুতরাং যাকিছু হোক নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা।

৮। সর্বোপরি আল্লাহ তাআলার সাহায্য চেয়ে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর বিধান ফলো করে বাস্তব জীবনে তা মেনে চলার চেষ্টা করা।

আল্লাহ তাআলা আমাদের ইহ ও পরকালীন জীবনকে সুখ-সমৃদ্ধ করেন।

এদিকে আরেক তরুণ আলেম  জামিয়া মাদানিয়া রওজাতুল উলুম কুমিল্লার সিনিয়ার শিক্ষক ও বড়দৈল মধ্যপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আখতার হুসাইন ফয়জী বলেছেন, ‘কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি জানতে পারেন তোমাদের মধ্যে কে নেক আমলে উত্তম।’ -সূরা মুলক: আয়াত,২

বস্তুত আল্লাহ তায়ালাই সব জানেন, আমরা কিছু জানি না। আল্লাহ মানুষকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। ইচ্ছে করলে নেক বা পাপ কাজ করতে পারে। তবে মানুষের পেছনে লেগে আছে চিরশত্রু শয়তান। শয়তান সর্বদা মানুষকে নেক আমল থেকে বিচ্যুত করতে চায়। ভ্রষ্টতার পথে ঠেলে দেয়।

পবিত্র কোরআনের ৯টি সূরার ৯ স্থানে এসেছে, ‘আর শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ শয়তান প্রকাশ্য শত্রু, কিন্তু ধোঁকা দেয় আড়ালে থেকে এবং বিভিন্নভাবে।

হাদিস শরিফে এসেছে হজরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, শয়তান পানির ওপর তার সিংহাসন স্থাপন করে, তারপর তার বাহিনী প্রেরণ করে। আর সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত সে, যে বেশি ফেতনা সৃষ্টি করে। সিংহাসনে বসে শয়তান সকলের ফেতনার ফিরিস্তি শোনে। একজন এসে বলে আমি অমুক কাজ করেছি, শয়তান বলে তুমি তেমন কোনো কাজ করোনি। এভাবে শয়তান প্রেরিত অন্য শয়তানদের মন্দ কাজের বিবরণ শুনতে থাকে। অতঃপর একজন এসে বলে আমি অমুকের সঙ্গে ধোঁকার আচরণ করেছি, এমনকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। একথা শুনে শয়তান তাকে তার নিকটবর্তী করে নেয়। আর বলে তুমিই বড় কাজ করেছ। হাদিস বর্ণনাকারী আমাশ বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন, অতঃপর শয়তান তাকে তার বুকের সঙ্গে জড়িয়ে নেয়। -সহিহ মুসলিম শরিফ: ৬৮৪৬

তিনি আরো বলেন, ‘শয়তান মানুষের জীবনের বাঁকে বাঁকে বিভিন্নভাবে ধোঁকা দেয়। মানুষের ইবাদত-বন্দেগি ও আমল নষ্ট করতে চায়। তবে বর্ণিত হাদিসসহ অন্য আরও হাদিস থেকে থেকে বোঝা যায়, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ একটি বড় ফেতনা এবং এটা শয়তানের পছন্দনীয় কাজ।

তার ভাষায়, ‘সমাজের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই কিছু না কিছু অশান্তি বিরাজমান। পারিবারিক দ্বন্দ্ব-কলহ অনেকটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা কারণে পারিবারিক ও সামাজিক সংকট তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত’।

তিনি আরো যুক্ত করেন, ‘ইসলাম পরিপালন করার ক্ষেত্রে নামাজ, রোজা, হজ হয়ত আমরা পালন করি, কিন্তু ইসলাম সংসার ও পারিবারিক জীবন সম্পর্কে যে আদর্শ দিয়েছে, তা জানি না এবং জানার চেষ্টাও করি না। অনেকে তো বিয়ের মাধ্যমে যে পারিবারিক জীবন গড়ে উঠে তার উদ্দেশ্যই জানে না। স্বামী-স্ত্রী, শশুর-শাশুড়ি থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকেই নিজের মতো করে ভাবে। ইসলামের নীতিকথা ভাবে না। ইসলামের বিধান অনুসরণ করে না। ফলে স্বাভাবিকভাবে পারিবারিক সংকট তৈরি হয়’ বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘সেদিন এক ব্যক্তি মনোকষ্টে বলেই ফেললেন, করোনার কী আর ভয়! আমি তো ঘরের করোনায় আক্রান্ত! বিষয়টি স্পষ্ট করে বুঝতে চাইলে তিনি যা বললেন, সেটার সারাংশ হচ্ছে- তার স্বামী বিভিন্ন নারীর সঙ্গে চ্যাটিং করে। আগে বাইরে থাকত। বাসায় আসার পূর্বে সব বন্ধ রাখত। কিন্তু এখন বাইরে যেতে পারে না। বিষয়টি ভাববার মত ‘।

তিনি আরো যোগ করেন, ‘কমবেশি আমরা সবাই সামাজিক বিভিন্ন নেটওয়ার্কে জড়িত। সেখানে পুরুষের নারী বন্ধু, নারীর পুরুষ বন্ধু। বন্ধুত্বের মাঝে শয়তানের ধোঁকায় অনেকে সীমালঙ্ঘন করছে। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। এই দ্বন্দ্ব থেকে পরিবারিক বিবাদ-বিতর্ক কখনও গড়াচ্ছে বিচ্ছেদে। আর হাতাহাতি, মারামারি, খুন-খারাবি তো আছেই। বলি, এর নিরসন কোন পথে?

তিনি বলেন, ‘মানুষ সামাজিক জীব। একসঙ্গে বসবাস করতে গেলে অনেক কিছুই হতে পারে। তবে আমরা সেটাকে ক্ষমা সুন্দর আচরণে দেখতে হবে। একে অপরকে দোষারোপ না করে ক্ষমাশীল হতে হবে। একে অপরের ভালো-মন্দ উভয়টিই তুলনা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, শয়তান আমাদের ধোঁকা দিচ্ছে। তার সৃষ্ট ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না। কোনো সংকট দেখা দিলে তা নিরসনে পরিবারের মুরুব্বি ও বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে। সেইসঙ্গে পরিবারের প্রত্যেকেই নিজের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। পুরুষ ভিন্ন নারী সঙ্গ এবং নারী ভিন্ন পুরুষ সঙ্গ বর্জন করে চলবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, একে অপরের অধিকার আদায় করা। পারিবারিক জীবন সম্পর্কে ইসলাম কী বলেছে, সেগুলো জানতে চেষ্টা করা ও সেভাবে চলা।

তার ভাষায়, ‘পারিবারিক অশান্তি নিরসনে পর্দার কোনো বিকল্প নেই। নারী-পুরুষ উভয়কেই শরয়ি পর্দা করতে হবে। এর সঙ্গে যাবতীয় লোভ ও হিংসা পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, অনেক পরিবার নষ্ট হয়েছে লোভের কারণে’।

এদিকে নাটোরের কাশফুল উলুম নেছারীয়া মাদরাসার প্রধান মুফতি; মুফতি জাকারিয়া মাসউদ বলেন, ‘পারিবারিক দ্বন্দ্ব বর্তমান সমাজে একটি পরিচিত অধ্যায়। আমার মনে হয় দেশেবিদেশে, কোন পরিবারই এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত নয়। এমনকি ধার্মিক মুসলিম পরিবারও এ সমস্যা থেকে মুক্ত নয়। আমার দেখা অনেক আলেম পরিবারও পারবারিক পারবারিক কলহে জর্জরিত। অনেক সংসার ভেঙ্গে অশান্তির নীর হচ্ছে বহু শান্তির ঠিকানা।

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করনীয়:

‘আমি মনে করি একটি পরিবারো অশান্তি বা কলহের মুল কারণ হলো আল্লাহর অবাধ্যতা বা গুনাহ করা। কেননা কলোহ সৃষ্টির বহু কারনের মধ্যে অন্যতম কারন হিংসা। যে হিংসা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন স্বয়ং বিশ্ব নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।(সুরা ফালাক) প্রথমে মহিলাদের মধ্যে এ কবিরা গুনাহের সুত্রপাত হয় ,পরে পুরুষ পর্যন্ত গড়িয়ে পারিবারিক কলোহে রুপ নেয়।

এ সমস্যা থেকে বেচে থাকতে হলে নিশ্চয়ই পরসহিষ্ণু হতে হবে। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এবং কোন সময় দন্ধ নিরসনে পুরুষকে হতে হবে কৌশলী, উভয়কুল বজায় রাখার চিন্তা মাথায় রেখে বিচার করতে হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে পারিবারিক কলোহ সৃষ্টির কারন হলো স্বামী স্ত্রী একে অপরের প্রতি অবহেলা, আর এটি তৈরি হয় মুহাব্বতের অভাব দেখা দিলে। আর স্বামী স্ত্রীর একে অন্যের প্রতি আসক্তি কমার প্রধান কারন পরকীয়া। এই রোগে বর্তমান সমাজে যেকোন ধরনের পরিবারই আক্রান্ত হতে পারে। আমার দেখা দু একটি দ্বীনদার পরিবারও এই কারনে পারবারিক কলোহে ভুগতেছে। আর বে পর্দার পরিবারেতো কোন ইয়োত্তা নেই। এটিকে মনে হয় তারা স্মার্টনেস মনে করে।

এসব সমস্যার সর্বাপেক্ষা ফলপ্রসূ সমাধান আমি মনে করি প্রতিটি মুসলিমকে পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হিসেবে জীবন যাপন করা। কেননা কেউ যখন পূর্ণ মুসলিম হবে তখন তাকে অবশ্যই আল্লাহর দেওয়া সীমা রক্ষা করে চলতে হবে আর কেউ মহান আল্লাহকে ভয় করে চলবে আর তার দ্বারা আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করা সম্ভব হবেনা। আর কেউ সীমা লঙ্ঘন না করলে তার মাধ্যমে কোন ধরনের অশান্তি সৃষ্টি হবেনা, হতে পারেনা।
তাই আমি বলবো পারবারিক কলোহ দন্ধ দুর করতে দরকার নারী পুরুষ সকলকে আল্লাহর প্রকৃত ভয় নিজের ভিতরে এনে পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হতে হবে। সুরা আল ইমরান আয়াত ১০২

আল্লাহ আমাদের সবাইকে পুর্নাঙ্গ মুসলিম হওয়ার তাওফিক দান করুন।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ