শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

‘মুরগি বা পাঁঠা নয়, বেশি করে গোমাংস খান, বিজেপি মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মেঘালয়ের বিজেপি মন্ত্রী সানবোর সুল্লাই বলেছেন, মুরগির মাংস, মটন কিংবা মাছের বদলে গরুর মাংস বেশি করে খান।

গো-মাংস ভক্ষণের বিরোধী বিজেপি মন্ত্রী সানবোর সুল্লাই নিজের রাজ্যের বাসিন্দাদের এই কথা বলে বুঝিয়েছেন তাঁর দল গরুর মাংস খাওয়ার বিরোধী নয়, সেকথাই যেন প্রমাণ করতে চাইলেন তিনি।

এদিকে তার দেশের একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্য এই গরুর মাংস খাওয়ার বিরুদ্ধে। তারা গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করতে এ সংক্রান্ত আইনও আনা হয়েছে। কোথাও আবার গো-মন্ত্রকও গঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি বিজেপিশাসিত আসাম বিধানসভায় ‘গবাদি পশু সংরক্ষণ’ বিল পেশ করেছেন মুখ্যমন্তী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যেখানে বলা হয়েছে, মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গোমাংস বিক্রি নয়। একইসঙ্গে হিন্দু, শিখ ও জৈন সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলিতে গোমাংস ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

কিন্তু সেই বিজেপি দলের মন্ত্রীর গলাতেই যেন উলটো সুর। সিনিয়র বিজেপি নেতা সুল্লাই গত সপ্তাহেই মেঘালয়ের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এরপরই তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকেরই নিজের পছন্দমতো খাবার খাওয়ার অধিকার রয়েছে।

শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুল্লাই বলেন, “মুরগির মাংস, মটন কিংবা মাছের পরিবর্তে আমি রাজ্যের বাসিন্দাদের গরু খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করব। আর এতে বিজেপি যে গোমাংস খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে, মানুষের সেই ধারনাও ভুল প্রমাণিত হবে।” সম্প্রতি অসমে গো রক্ষায় যে নয়া বিল পাশ হয়েছে। এর ফলে অসম থেকে গরুর আমদানিরর ব্যাপারে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।

কিন্তু মেঘালয়ের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সুল্লাই জানালেন, এ ব্যাপারে তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। যদিও বর্তমানে সীমান্ত নিয়ে দু’রাজ্যের মধ্যে চলতে থাকা বিবাদের মাঝে এই নিয়েও অনেকেই সন্দিহান।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ