বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

নিয়ামত বিষয়ে হারদুঈ হযরতের অসাধারণ একটি উপমা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মুযাম্মেল হক

হারদুঈ হযরত আল্লামা আবরারুল হক হক্কী রা. একবার আসরের পর মজলিস চলছিলো৷ হঠাৎ হালকা বৃষ্টি শুরু হলো৷ যার কারণে মজলিসের লোকজন ঘরে যেতে শুরু করলো৷ এই দৃষ্য দেখে হযরত বললেন, যদি কেউ এই অবস্থায় জিজ্ঞাস করে- তোমরা আল্লাহ তাআলার রহমত থেকে পলায়ন করতেছো, তখন কী উত্তর দিবে? বিভিন্ন জন বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রত্যেকের আন্দাজে উত্তর দিলো৷ সর্বশেষে হযরতের কাছেই এর উত্তর জানতে চাওয়া হলো৷

উত্তরে হযরত বলেন, কথা হলো সবকিছুই মহান রাব্বুল আলামীনের রহমত৷ যেভাবে বৃষ্টি আল্লাহ তাআলার নিয়ামত ও রহমত, তেমনিভাবে ছায়াদার স্থানও আল্লাহ তাআলার নিয়ামত ও রহমত৷ রোদ যেমন নিয়ামত, ছায়াও তেমনি নিয়ামত৷

গরমও তার নিয়ামত৷ এখন কথা হলো, সবকিছুকেই মহান রাব্বুল আলামীনের রহমত ও নিয়ামত মনে করে প্রত্যেকের অবস্থাভেদে যে নিয়ামতটি বান্দার জন্যে উপযোগী হয় সেটি গ্রহণ করবে৷ বাকী নিয়ামতকে নিয়ামত বিশ্বাস করে, অন্য নিয়ামত গ্রহণ করা আদবের বিপরিত না৷ এবং সেটিকে আল্লাহ তাআলার নিয়ামত ও রহমত থেকে মুখ ফিরানো বলে না৷

উদাহরণস্বরুপ, জরুরতবশত রোদ থেকে ছায়ায় যাওয়া খেলাফে আদব নয়৷ এবং এমন করা তাঁর রহমত ও নিয়ামত থেকে মুখ ফিরানো বলে না৷ বরং দ্বিতীয় নিয়ামত ও রহমতকে অনুসন্ধান বলে৷ হ্যাঁ, যদি কেউ রোদ, বৃষ্টি, প্রচন্ড ঠান্ডা বা প্রচন্ড গরম কে মহান রাব্বুল আলামীনের নিয়ামত ও রহমত মনে না করে৷ এবং সে মনে করে এগুলো এখন সময় উপযোগী না এবং এখন দেয়া ঠিক হয়নি৷ এই মনোভাব দেখিয়ে যদি কেউ অন্য নিয়ামত তালাশ করে, তাহলে তার কাজটি ঠিক হয়নি৷ বরং সে মন্দকাজ করলো৷ আর এমন মনোভাবে অন্য নিয়ামত তালাশ করাও নিষেধ৷

হযরত বলেন, বরং সে এই মনোভাব রাখবে যে, সবকিছুই মহান রাব্বুল আলামীনের রহমত ও নিয়ামত৷ কিন্তু আমি দুর্বল হওয়ার কারণে এই নিয়ামতটি বহন করতে পারতেছি না৷ এই জন্যে যে নিয়ামতটি আমার জন্যে বহন করা সহজ, সেই নিয়ামতটি খোঁজতেছি৷ এমন মনোভাবে অন্য যে নিয়ামতটি সহজ, তা খোঁজা ঠিক আছে এবং শয়ীরতেও অনুমতি আছে৷ এবং এক্ষেত্রে বলা যাবে না যে, সে নিয়ামত থেকে মুখ ফিরিয়েছে৷

এক নিয়ামত থেকে অন্য নিয়ামতের দিকে মনোনিবেশ করছে৷ বরং এক নিয়ামত থেকে অন্য নিয়ামত পাওয়ার জন্যে দুআও করা চায়৷ যেমন, অসুস্থতা নিয়ামত৷ আবার সুস্থতাও নিয়ামত৷ এক্ষেত্রে সুস্থতার জন্যে দুআ করা এবং অসুস্থতা থেকে পানাহ চাওয়া বৈধ আছে৷ এবং এমনটি করা সঠিকও৷ আর দুআ এভাবে করা- হে আল্লাহ! এই অসুস্থতাও আপনার নিয়ামত৷ কিন্তু আমি দুর্বল হওয়ার কারণে এই নিয়ামতটি বহন করতে পারছি না৷ এই জন্যে আপনি আপনার নিজ অনুগ্রহ ও দয়ার দ্বারা আমাকে সুস্থতার নিয়ামত দান করুন৷ এবং অসুস্থ নামক নিয়ামতকে সুস্থতা নামক নিয়ামত দ্বারা পরিবর্তন করে দিন৷ এবং সুস্থতার জন্যে চিকিৎসা করাও সুন্নত৷ বরং অনেক সময় চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরী হয়ে যায়৷

হযরত বলেন, মোটকথা হলো- প্রত্যেক নিয়ামতকে নিয়ামত মনে করে, নিজের দুর্বলতার কারণে অন্য নিয়ামত গ্রহণ করা, আগের নিয়ামতের ব্যাপারে কোন ধরনের অভিযোগ-অনুযোগ না করে- সহিহ আছে৷ এবং এমন করাই উপযোগী৷ তাতে কোন ধরনের খারাপতা নেই৷ এই কাজকে মন্দ বলার কোন সুযোগ নেই৷

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ