শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


অন্যকে ছোট করে দেখার বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোজাম্মেল হক।। হারদুঈ হযরত আল্লামা আবরারুল হক হক্কী রাহিমাহুল্লাহু তাআলা বলেন, আমাদের নেককাজগুলো হিসাব তো নিজেদের জানা আছে৷ কিন্তু অন্যদের নেককাজগুলোর হিসেব আমাদের জানা নেই৷ তাহলে কোন অধিকার বলয়ে আমরা অন্যকে ছোট ভাবতে পারি৷ হতে পারে, অন্যদের নেককাজ আমাদের চেয়ে বেশি৷ আর অভিজ্ঞতাতে এমন হয়েছে সেটিও প্রমাণিত৷

হযরত বলেন, আমাদের এখানে একজন হেফজ বিভাগের উস্তাদ ছিলেন৷ তিনি ইন্তেকাল করেছেন৷ মহান রাব্বে কারীম তাঁকে মাফ করে দিন৷ এখান থেকে অল্প দূরে একটি এলাকা ছিলো বাউন৷ ঐ এলাকার নাম বাউন এজন্য রাখা হয়েছিলো যে, সেখানের পানি বায়ান্ন হাত নিচে ছিলো৷ আর এলাকাটি উঁচুতে ছিলো৷ সেখানের কিছু লোক পড়ার সুবাধে তাঁর সাথে সম্পর্ক ছিলো৷ বৃহস্পতিবার কখনো কখনো তিনি সেখানে যেতেন৷ সেখানে যাওয়ার পথে কাজ কী ছিলো তার?

হাফেজ সাহেব বলেন, যখন আমি হারদুঈ থেকে রওয়ানা হই, তখন পবিত্র কুরআনুল কারীম পড়া শুরু করি৷ সেখানে পৌঁছতে দেড় বা দুই ঘন্টা সময় লাগতো৷ তো, আমি এই চলার পথে পনেরো পারা পবিত্র কুরআনুল কারীম পড়ে ফেলতাম৷ আর যখন সেখান থেকে হারদুঈতে আসার জন্যে রওয়ানা হতাম, তখন হারদুঈ পর্যন্ত আসতে আসতে বাকী পনেরো পারা পবিত্র কুরআনুল কারীম পড়ে ফেলতাম৷

হযরত বলেন, অনেক আল্লাহ তাআলার বান্দা এমন আছেন যারা আমলের জন্যে এমন নিভৃত নিজস্ব অভ্যাস বানিয়ে নিছেন৷ যাদের খোঁজখবর আমাদের অজানা৷ সুতরাং অন্যকে ছোট ভাবার আর নিজেকে বড় ভাবার কোন সুযোগ নেই৷

হযরত বলেন, শায়খুল হাদীস আল্লামা যাকারিয়া রাহিমাহুল্লাহু তাআলা৷ আল্লাহ তাআলা তাঁর কবরকে নূর দ্বারা ভরপুর করে দিন৷ আমীন৷ তাঁর আমল ছিলো, রমযান মাসে প্রতিদিন দিনে একবার কুরআনুল কারীম খতম করতেন৷ রাতে একবার কুরআনুল কারীম খতম করতেন৷

হযরত বলেন, একজন তারাবী পড়ানেওয়ালার যদি এমন আমল হয়, তাহলে নিজেকে কেউ বড় ভাবার সুযোগ কীভাবে হয়? নিজেকে বড় ভাববে কিভাবে? মূলবিষয় হলো, বিনয়৷ অর্থাৎ নিজেকে ছোট মনে করা৷ বিনয় হলো নিজেকে ছোট ভাবার মাপকাঠির৷

-এটি


সম্পর্কিত খবর