শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


উস্তাদ-ছাত্রীর বিয়ে প্রসঙ্গে যা বলল দেওবন্দ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: নিজের মাহরাম আত্মীয় ছাড়া বিয়ে করা যাবে যে কাউকে। আর জীবনসঙ্গিনী যদি নিজের হাতে গড়া ছাত্রী হয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। মিয়া বিবির মাঝে কখনো হবে না উচ্চ বাক্য। সুন্দর সুখময় দাম্পত্য জীবন কাটাতে পারবে সব সময়।

তবে ব্যতিক্রম যে হয় না, তা নয়। আসলে সবই তো তাকদীরের ফায়সালা। তবে উস্তাদের জন্য নিজের ছাত্রীকে অথবা ছাত্রী-উস্তাদের বিয়ে প্রসঙ্গটি কেমন? বিষয়টি জনৈক ব্যক্তি জানতে চেয়েছেন দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে।

প্রশ্নে তিনি উল্লেখ করেন, ‘এক ব্যক্তি দিল্লির এক ছাত্রীকে স্কুলে পড়াতেন। পড়ানোর সময় তার অন্তরের নিয়ত একেবারে পরিস্কার ছিল। এমনকি তিনি সেই ছাত্রীকে কখনো আম্মু, আম্মু’ বলেও ডাকতেন। তবে ওই শিক্ষক ছিলেন অবিবাহিত। কিছুদিন পর তাকে একই স্কুলের অন্য একজন শিক্ষক পরামর্শ দিলেন, এই মেয়েকে বিয়ে করে নেন। কেননা মেয়েটি অনেক নম্র-ভদ্র। সালেহা-আবেদা। সর্বোপরি বংশগত দিক থেকেও অনেক ভালো।’

প্রশ্ন হল, ‘এই শিক্ষকের জন্য কি ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো ঠিক হবে? আর যদি প্রস্তাব পাঠায় তাহলে সেই মেয়ের কি এই শিক্ষককে বিয়ে করা ঠিক হবে? অথবা মেয়ের অভিভাবক, বাবা-মা যদি এই বিয়েতে নারাজ হয়; তাহলে বিষয়টি কেমন হবে? শরীয়তের দিক থেকে সহজ সমাধান চাই।’

ওই লোকের প্রশ্নের জবাবে দেওবন্দ থেকে বলা হয়, ‘মেয়ের ছাত্রী হওয়া এটা বিয়েকে নিষেধ করে না। অর্থাৎ ছাত্রী তার শিক্ষকের সাথে বিয়ে বসতে পারবে। তারা উভয়ে উভয়ের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। ছাত্রীর জন্য উস্তাদকে ও উস্তাদের জন্য নিজের ছাত্রীকে বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নেই। চাই সেই ছাত্রী শিক্ষকের চেয়ে বড় হোক অথবা ছোট। আর যদি সেই মেয়ের বাবা-মা এই আত্মীয়তাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে না করে তাহলে সুন্দরভাবে অক্ষমতা প্রকাশ করাই উত্তম।’

তবে কথা হচ্ছে, ‘বালেগা মেয়ের সাথে বালেগ পুরুষের বিয়েতে বাধা দেওয়া ঠিক না। পিতা-মাতার এই বিষয়ে চিন্তা করা উচিত। এবং যেখানেই সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে করবে, সেখানেই তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া উত্তম।’

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ