মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ।। ৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ৯ রমজান ১৪৪৫

শিরোনাম :

ভীতির ছাপ, যুদ্ধবন্ধের দাবি ইসরায়েল সামরিক কমাণ্ডারদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইয়াহইয়া বিন আবু বকর, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান বন্ধ ও যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে।

আজ (১৬ মে) রবিবার ইসরায়েলি সংবাদ সাইট ‘ওয়ালা’ সামরিক কমাণ্ডারদের বরাত দিয়ে জানায়, যদিও প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু প্ররতিক্ষা সংস্থা এবং সেনাবাহিনীর সিনিয়র সদস্যরা বলেন, এখনি যুদ্ধের ইতি টানা সমিচীন হবে। কেননা এ অল্পদিনের যুদ্ধেই ইসরায়েলী বাহিনীর চড়া মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে।

ব্যাপক মানবিক ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিরও শিকার হয়েছে তারা। অতএব সরেজমিনে সামরিক মহড়া চালানো এবং যুদ্ধ অব্যাহত রাখা বড়ই ঝুঁকিপূর্ণ, এ ঝুঁকিতে কেউ প্রবেশ করতে চায় না।

ইসরায়ে সাইট আরও জানায়, সামরিক কমাণ্ডারগণ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার কার্যকারিতা হ্রাস পেয়েছে। আর ‘হামাস’ থেকে এমনভাবে একটি বিস্ময়কর উত্থানের এবং তাদের ‘প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের’ কল্পনাও করা যায়নি।

হামাস যুদ্ধের জন্য যে সরঞ্জামাদি নিয়ে মাঠে নেমেছে তা ১৪ হাজার রকেটের কম হবেনা। এছাড়া গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রাখলে ভবিষ্যতে ইসরায়েল রাষ্ট্রের বৈধতা হারানোরও ঝুঁকি রয়েছে। হামাসের সামরিক শাখার কমান্ডার মুহাম্মদ আল-যাইফ ইসরায়েলের উপরে নতুন সমীকরণ চাপিয়ে দিতে সফল হয়েছেন, যখন তিনি ইসরায়েল জুড়ে পৌঁছতে পারে এমন প্রতিটি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দেড়শতাধিক শহীদ এবং পাঁচশতাধিক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এবং অন্তত ৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

তবে ইসরায়েল তাদের আহত ও নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করেনি। তবে বেশ ক্ষয়ক্ষতির শিকার তারা হয়েছে বলে জানা যায়। এবং অনবরত ইসরায়েলের শহরগুলোতে সতর্ক ঘন্টা বেজে চলেছে, এবং ৭০% অধিবাসী ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছে। এদিকে গত দুদিন ধরে যুদ্ধ বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সমাজ তীব্র আহ্বান জানাচ্ছে। সূত্র: আলকুদস ও আনাদোলু এজেন্সী


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ