বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’ মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হলো বিয়াম'র চ্যাপ্টার কমিটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার আগামীদিনে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হবে দেশের হজ ব্যবস্থাপনা: ধর্মমন্ত্রী সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি চাঁদ মামার বয়স হয়েছে! চাঁদের বয়স কত? বিশেষ ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ বাড়তে পারে তাপমাত্রা, দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস

বৌদ্ধ ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন এক কোরিয়ান কিশোরী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বৌদ্ধ ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ এক কোরিয়ান কিশোরীর। মাতৃভূমির প্রতি আরব পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ইউটিউবে কোরিয়ান সভ্যতা-সংস্কৃতি তুলে ধরে আরবি ভাষায় নানা ভিডিও তৈরি করা তার কাজ।

কাজের সুবিধার জন্য আরব মুসলিমদের সম্পর্কে তার বেশ জানাশোনা হয়ে যায় এবং ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে ইসলাম গ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। ইসলাম গ্রহণের পরে আলজাজিরায় প্রকাশিত জান্নাত কোরিয়ার সাক্ষাতকারটি ভাষান্তর করেছেন বেলায়েত হুসাইন।

জান্নাত কোরিয়া নামের মেয়েটি বলেন, সত্যিকার অর্থে বৌদ্ধ পরিবারে জন্ম হলেও আমি কোনো ধর্ম ও স্রষ্টায় বিশ্বাস করতাম না। ইউটিউবে আমার অনেক ফলোয়ার ছিল। কোরিয়ান সংস্কৃতি ও এখানে মুসলিম পর্যটকদের উপযোগী হালাল পরিষেবা প্রচারে আমি আরবি ভাষা ব্যবহার করতাম। এজন্য আমার অনেক পরিচিত আমার ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করত। আমি তা এড়িয়ে যেতাম।

২০১৮ সাল আমার জন্য বেদনাদায়ক বছর। এসময় আমি খুব কঠিন জীবন অতিবাহিত করি এবং ধর্মানুরাগী জীবনের প্রয়োজন অনুভব করি। এরপর বিভিন্ন ধর্ম বিষয়ে পড়াশোনা করি। তবে ইসলাম ধর্মটা আমার কাছে ব্যতিক্রমী ও গোছালো মনে হয়। আমি বুঝতে পারি, এটা আমার খুব নিকটবর্তী এবং ইসলামই সত্য ধর্ম। তবে ইসলাম গ্রহণে ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ, একজন মুসলিম নারীর অনেক দায়-দায়িত্ব; পর্দাপালন, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও রোজা ইত্যাদি করতে হয়।

কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে আমি প্রাথমিক ধারণা পাই এরও আগে, ২০১৩ সালে। আমার পরিচিত এক মুসলিম যুবক আমাকে ইসলাম বোঝায়। সেই থেকেই ইসলামের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন হয়, আমি এটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করি। এরই প্রেক্ষাপটে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো আমি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মসজিদে যাই। পরে আরেকটি মসজিদে যাই মুসলিমদের ইবাদতের ভিডিও তৈরির কাজে। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হঠাৎ মসজিদের ইমাম এসে আমাকে বলেন, ‘আল্লাহ তোমাকে অনেক ভালোবাসেন’। এ কথা আমার হৃদয় স্পর্শ করে। আমি অজান্তেই কেঁদে ফেলি।

এর কিছু দিন পর আমি লেবানন সফর করি। সেখানে গিয়েও হিজাব পরে বিভিন্ন মসজিদে যাওয়া অব্যাহত রাখি। এ সময়ে দেখি আমার চোখে পানি গড়িয়ে পড়ছে। এরইমধ্যে লেবাননে আমার বেশ কয়েকজন মুসলিম বান্ধবী গড়ে ওঠে। আমি ইসলামের যেসব বিষয়ে আতঙ্কগ্রস্ত ছিলাম- পর্দাপালন, সালাত, রোজা ইত্যাদি- এগুলোর ব্যাপারে তারা আমাকে অভয় দিয়ে বলে, প্রথম দিন থেকেই এসব একসঙ্গে পরিপালন তোমার জন্য আবশ্যক নয়; তুমি একেকটা শেখো এবং ধীরেধীরে অভ্যস্ত হলেও সমস্যা নেই।

বান্ধবীরা আমাকে সুন্দর সুন্দর উপঢৌকন দেয়, পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে এবং অর্থ বুঝতে নানারকম সাহায্য করে। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিই- বাকি জীবন তাদের সাথেই কাটাব। পরে ২০২০ সালের রমজানে করোনাকালীন সময়ে ভিডিওর মাধ্যমে জানাই ‘আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি’।

কারণ, আমার রবকে ছাড়া জীবন-যাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছিল। ইসলাম গ্রহণের পর এখনো আমি ভিডিও তৈরি করি, তবে তাতে ইসলামের পরিচিতি থাকে, মুসলিমদের সম্পর্কে বিশ্বকে সত্যকথা জানাতে চেষ্টা করছি। কোরিয়ার একাধিক সেলিব্রিটিও নিয়মিত আমার ভিডিও দেখেন এবং তারা এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন। আমার প্রতিটি ভিডিও লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখছে। আমি আশা করি- এটি অব্যাহত রাখতে পারব। সূত্র: ইকনা

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ