শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


এটিই হবে আগামী প্রজন্মের কুরআনের মুসহাফ: মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাজারে এসেছে প্রসিদ্ধ লেখক, গবেষক মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীন এর বিন্যাস করা কুরআনের মুসহাফ ‘আল কুরআনুল কারীম’। সম্প্রতি এ মুসহাফটি বেশ ভালো সাড়া ফেলেছে। ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ সবার কাছেই ব্য়াপকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। অনেক বিখ্যাত সাড়াজাগানো  পাঠকপ্রিয় গ্রন্থের কারিগর তিনি। আহকামে যিন্দেগী, ফাযায়েলে যিন্দেগী, ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ, বয়ান ও খুতবা ১-৩ খণ্ড, ইসলামী মনোবিজ্ঞান, আহকামুন নিসা তার লেখা অন্যতম গ্রন্থ। কওমি অঙ্গণে তার মতো গবেষক লেখক বিরল। সম্প্রতি নিজের তৈরি করা কুরআনের মুসহাফ নিয়ে আওয়ার ইসলামের মুখোমুখি হয়েছেন বিখ্যাত এ আলেম লেখক। তার সাথে কথা বলেছেন আওয়ার ইসলামের নিউজরুম এডিটর।


মোস্তফা ওয়াদুদ: আপনি একটি মুসহাফ তৈরি করেছেন। তা এই ‘মুসহাফ’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়? মুসহাফ আর কুরআন মাজীদ কি এক কথা?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: মুসহাফ শব্দটির সাথে আমাদের পরিচিতি কম। মূলত কুরআন হচ্ছে আল্লাহর কালাম তথা আল্লাহর বাণী যা রাসূলের সা. প্রতি নাজিল হয়েছে। আর এই আল্লাহর কালামকে পাঠ করার জন্য লিখিত বা মুদ্রিত যে কপি তৈরি করা হয় তাকে বলে মুসহাফ। সংক্ষেপে মুসহাফ হচ্ছে আল্লাহর কালামের লিখিত বা মুদ্রিত কপি। বস্তুত আল্লাহর কালাম মুসহাফে লিখিত থাকে।
মোস্তফা ওয়াদুদ: দুনিয়াতে কুরআনের অসংখ্য মুসহাফ আছে। আপনি নতুন করে আরেকটি মুসহাফ তৈরি করলেন- এই চিন্তাটি কেনো এলো?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: বিষয়টা একটু দীর্ঘ বিবরণ সাপেক্ষ। সারা বিশ্বে মুসহাফে উছমানির রছমে খত অনুসরণ করে তিনটি মানহাজে কুরআন লিখিত হয়ে থাকে। যথা: আবূ আমর দানির মানহাজ, আবূ দাউদ সুলাইমান ইবনে নিজাহ-এর মানহাজ ও কালূনের মানহাজ। আমাদের উপমহাদেশসহ দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার বেল্টে আবূ আমর দানির মানহাজ অনুসারে মুসহাফে উছমানির রছমে খত অনুসরণ করে মুসহাফ মুদ্রিত হয়ে থাকে।

কিন্তু আমাদের দেশের মুসহাফসমূহে আবূ আমর দানির মানহাজ অনুসারে মুসহাফে উছমানির রছমে খত সহীহ রয়েছে কি না তার দিকে তেমন তাওয়াজ্জুহ না দেয়ার কারণে আমাদের দেশের মুসহাফসমূহে প্রচুর সংখ্যক রছমে খতের গলতী রয়ে গেছে। এই রছমে খতের গলতী সহীহ করার বিশেষ প্রয়োজন ছিল। তদুপরি হেফজ কুরআন মাজীদের অনেক সাফহায় শুরু শেষে অর্থের অসংগতি, দুই জায়গায় রুকুর শুরু শেষে অর্থের অসংগতি, দুই পারার শুরু নিয়ে অসংগতি, দুই পারার সাফহা সংখ্যা বিশ না থাকায় সমস্যা ইত্যাদি অনেক বিষয় এমন ছিল যা সংশোধন করার প্রয়োজন ছিল। এসব প্রয়োজন বোধ থেকেই নতুন করে আরেকটি মুসহাফ তৈরির চিন্তা জাগ্রত হয়। আমাদের মুসহাফের ত্রিশটি বৈশিষ্ট সামনে রাখলে সকলের সামনেই স্পষ্ট হবে কেন নতুন করে এই মুসহাফ তৈরির প্রয়োজন ছিল।

মোস্তফা ওয়াদুদ: এমন একটি মুসহাফ প্রণয়ণের জন্য আপনি কার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: প্রথম তো বহুবিধ কারণে আমি নিজে নিজেই অনুপ্রাণিত হয়েছি। পরবর্তীতে মারকাযুদ দাওয়াহ আল-ইসলামিয়া ঢাকার আমিনুত তা'লীম হজরত মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা-এর মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস হজরত মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমী সাহেব রহ. প্রমুখ কাজটি এগিয়ে নেয়ায় উৎসাহিত করেছেন। মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব বেশ কিছু বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে কাজটিকে সর্বাঙ্গীন সুন্দর করার পশ্চাতে ভূমিকা রেখেছেন। বেশ কিছু বিষয় তাহকীকে সহযোগিতা করেছেন। বসুন্ধরা রিসার্চ সেন্টারের কেরাতে সাবআ বিশেষজ্ঞ মাওলানা আব্দুল মা’বূদ সাহেবও মুসহাফের প্রুফ কপি দেখে যাচাই পূর্বক কিছু পরামর্শ দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করেছেন।

মোস্তফা ওয়াদুদ: আপনি কী কী কারণে নিজের থেকে এ কাজের জন্য উৎসাহিত হলেন? সেগুলো একটু বলুন।
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: আমি নিজে নিজে কী কী কারণে এ কাজের জন্য উৎসাহিত হলাম? কারণ তো অনেক। প্রচলিত হেফজ কুরআন মাজীদের বিভিন্ন সাফহার শুরু শেষে অর্থের অসংগতি থাকা, উস্তাদদের মুখে শুনে দু’টো রুকুর পরিমাণ নির্ণয়ে সমস্যা থাকার বিষয়ে অবগত হওয়া, মুশাব্বার দিক-নির্দেশনা না থাকা, সবচেয়ে বড় কারণ রছমে খতের গলতী থাকা ইত্যাদি -যা পূর্বে কিছু উল্লেখ করেছি- এগুলো আমাকে মুসহাফে বহুমুখী সংশোধনী আনয়নের কাজে উদ্বুদ্ধ করে তোলে।

মোস্তফা ওয়াদুদ: আপনার মুসহাফের ২৯ ও ৩০ নং পারাসহ সব পারাতেই বিশ পৃষ্ঠা। এর কারণ কি? এটি এভাবে কেনো বিন্যস্ত করলেন?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: কুরআনে কারীমের হাফেজী নুসখায় প্রত্যেক পারাকে বিশ পৃষ্ঠায় বা বিশ সাফহায় বিন্যস্ত করা হয়েছে তারাবীহের বিশ রাকআতে বিশ পৃষ্ঠা পাঠ করার সুবিধার জন্য। কিন্তু ২৯ ও ৩০ নং পারায় বহুসংখ্যক সূরার নাম ও সেগুলোর শুরুতে পঠিতব্য বিসমিল্লার কারণে পারা দুটোর কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে অন্যান্য মুসহাফে পারা দু’টোকে বিশ পৃষ্ঠায় আঁটানো সম্ভব হয়নি। ২৯ নং পারা হয়ে গিয়েছে ২৪ পৃষ্ঠার এবং ৩০ নং পারা হয়ে গিয়েছে ২৫ পৃষ্ঠার। এ পারা দু’টো বিশ পৃষ্ঠায় বিন্যস্ত না হওয়ার কারণে তারাবীহের নামাযে কোন রাকআতে কতটুকু পড়া হবে, ২৪ বা ২৫ পৃষ্ঠাকে বিশ রাকআতে কীভাবে বন্টন করা হবে তা নিয়ে হাফেজ সাহেবদের পেরেশানী হয়। এই পেরেশানী দূর করার জন্য আমরা চিন্তা-ভাবনা করে ফন্ট সাইজ ছোট না করেও এই পারা দুটোকে বিশ পৃষ্ঠায় কীভাবে আঁটানো যায় তার কৌশল বের করেছি এবং অর্থের প্রতি খেয়াল রেখে সাফহা বন্টনের কাজ সম্পন্ন করেছি। এখন আমাদের মুসহাফে অন্যান্য পারার ন্যায় ২৯ ও ৩০ নং পারাও বিশ পৃষ্ঠায় বা বিশ সাফহায় বিন্যস্ত হয়েছে।

মোস্তফা ওয়াদুদ: আপনার মুসহাফের অন্যান্য আর কি কি বৈশিষ্ট রয়েছে?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: বেশ কিছু বৈশিষ্টের দিকে তো আগেই ইংগিত করা হয়েছে । তবুও সংক্ষেপে বলি। আমাদের মুসহাফটির রয়েছে ৩০টি বৈশিষ্ট। তার মধ্যে একটি বৈশিষ্ট হল এ মুসহাফে দীর্ঘ তাহকীক পূর্বক রছমে খত সহীহ করা হয়েছে। যেখানে আমাদের দেশের প্রসিদ্ধ কুরআন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের কুরআন মজিদে শতাধিক রছমে খতের গলতী রয়েছে। অথচ এমনতর রছমে খতের গলতীসহ কুরআন মজীদ ছাপাই জায়েজ নয়।

এ মুসহাফের আরেকটি বৈশিষ্ট হল যেসব সাফহার শেষ হয়েছে এমন শব্দের উপর এবং তার পরবর্তী সাফহার শুরু হয়েছে এমন শব্দ দিয়ে যা অর্থ বিবেচনায় অসংগতিপূর্ণ, এরূপ সাফহাগুলো অর্থের সাথে সংগতিপূর্ণ করে পুনঃবিন্যস্ত করা হয়েছে। এ মুসহাফের রুমূযে আওক্বাফ অর্থের সাথে অধিকতর সংগতিপূর্ণ। এ মুসহাফে মুশাব্বা-র আয়াতসমূহের বিশদ দিক-নির্দেশনা রয়েছে। যা হেফজের ছাত্র ও লেখক গবেষকদের জন্য বিশেষ উপকার দিবে। এ মুসহাফে লম্বা আয়াতের মাঝে শ্বাস ফুরিয়ে গেলে সেখানকার জন্য ওয়াকফ ও ইবতিদা বিষয়ক দিক-নির্দেশনা রয়েছে। অর্থের প্রতি বিশেষ খেয়াল রেখেই এ কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে।

কুরআন মাজীদের বেশ কিছু সূরার একাধিক নাম রয়েছে, আমাদের দেশের মুসহাফে এক নাম লেখা হয় আরব দেশসমূহের মুসহাফে আরেক নাম লেখা হয়। এ কারণে আমাদের ছেলেরা আরব দেশে পরীক্ষা বা প্রতিযোগিতায় সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই এই মুসহাফে সব নামই লিখে দেয়া হয়েছে। কিছু সূরা মক্কী না মাদানী তা নিয়েও এরূপ সমস্যা হয়। সেরূপ ক্ষেত্রেও এই মুসহাফে অবলিক সহকারে মক্কী মাদানী উভয়টি লিখে দেয়া হয়েছে। এই মুসহাফের প্রতি পৃষ্ঠায় উপরে পারা নম্বর ও সাফ্হা নম্বর বাংলায় লিখে দেয়া হয়েছে। ফলে ছাত্রদের এগুলো হাতে লিখে নেয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

এ মুসহাফের art work পদ্ধতিতে তৈরি করা শব্দ ও হরকত ইত্যাদি এমন দৃষ্টিবান্ধব ও মোটা যা পাঠ করতে চোখের উপর প্রেসার পড়বে না, দীর্ঘ সময় দেখে তিলাওয়াত করলেও মাথা ব্যথার কারণ ঘটবে না, যেমনটা অনেক হেফজ ছাত্রের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে।
এ মুসহাফের শব্দ ও হরকত ইত্যাদি দৃষ্টিবান্ধব ও মোটা হওয়ার কারণে এটি দৃষ্টিদুর্বল ব্যক্তি ও বৃদ্ধদের জন্যও স্বাচ্ছন্দ্যে পাঠযোগ্য। এর শব্দ ও হরকত ইত্যাদি অত্যন্ত ঝরঝরে, কোনটিই একটির উপর আরেকটি উঠে যায়নি বা একটির সংগে আরেকটি জড়িয়ে যায়নি। এভাবে মুসহাফটির রয়েছে অনন্য ৩০টি বৈশিষ্ট। মুসহাফটির ভূমিকায় বৈশিষ্ট ৩০টির বিশদ বিবরণ রয়েছে।

মোস্তফা ওয়াদুদ: মুসহাফটি প্রণয়ণের পর দেশের ওলামায়ে কেরামের প্রতিক্রিয়া কী?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: আল-হামদু লিল্লাহ উলামায়ে কেরামের মধ্যে যারাই আমাদের মুসহাফ সম্বন্ধে অবগত হচ্ছেন এবং এই মুসহাফে কী কী কাজ করা হয়েছে, এর কী কী বৈশিষ্ট রয়েছে সে সম্বন্ধে জানতে পারছেন তারা মুগ্ধ হচ্ছেন। আমাকে প্রাণ খুলে দুআ দিচ্ছেন। অনেকেই কাছাকাছি এরকম ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন যে, আপনি এই মুসহাফে যে কাজগুলো করেছেন তার প্রয়োজন ছিল, আরও অনেক আগে এগুলো হওয়ার দরকার ছিল। কেউ উদ্যোগ নেয়নি, আপনি উদ্যোগ নিয়েছেন, আল্লাহ্ তাআলা গোটা জাতির পক্ষ থেকে আপনাকে জাজায়ে খায়ের দান করেন।

মোস্তফা ওয়াদুদ: ছাত্র সমাজের মূল্যায়ন কী?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: ছাত্রদের মধ্যে যারা সমঝদার তারাও উলামায়ে কেরামের ন্যায় এর প্রয়োজন ও গুরুত্ব উপলব্ধি করছে।

মোস্তফা ওয়াদুদ: বিশেষত হিফজুল কুরআন বিভাগের ছাত্র-উস্তাদদের প্রতিক্রিয়া কী?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: হেফজ বিভাগের ছাত্ররা রছমে খতের গলতী, সাফহার শুরু শেষ ও রুমূঝে আওক্বাফ প্রভৃতির কারণে কেন কীভাবে অর্থে অসংগতি আসে ইত্যাদি ইলমী বিষয় বুঝতে অপারগ হওয়ার কারণে এ মুসহাফের গুরুত্ব ও প্রয়োজন উপলব্ধি করতে পুরোপুরি সক্ষম নয়। হেফজখানার যেসব উস্তাদ আলেম নন তাদের অনেকের অবস্থাও সেরকম। তারপরও ওয়াকফ ইবতিদা, মুশাব্বার দিক-নির্দেশনা, সব পারা বিশ সাফহায় বিন্যস্ত হওয়া, ফন্টের সৌন্দর্য ইত্যাদি অনেক কিছু নতুনত্ব পেয়ে তারাও আকর্ষণ বোধ করছে। অবশিষ্ট বৈশিষ্টাবলি সম্বন্ধে বিজ্ঞ উস্তাদরা একে অন্যকে বুঝিয়ে দিলে এক সময় সকলেই এ মুসহাফ গ্রহণের প্রয়োজন ও গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পুরোপুরি সক্ষম হবে ইন শা আল্লাহ্।

মোস্তফা ওয়াদুদ: মুসহাফটির ব্যাপারে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: আল-হামদু লিল্লাহ মাত্র এক বছর হল মুসহাফটি প্রকাশিত হয়েছে, তদুপরি করোনা পরিস্থিতি চলছে। এর মধ্যেও দেশের শত শত প্রতিষ্ঠানের হেফজ ও নাজেরা বিভাগে ইতিমধ্যে এটি চালু হয়েছে। সামনে ব্যাপকভাবে চালু হওয়ার তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুল হক সাহেবসহ হাফেজদের আরও কয়েকটি সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকর্তাও সর্বত্র এটি চালু করার উদ্যোগ গ্রহণে ব্রতী হয়েছেন।

মোস্তফা ওয়াদুদ: মুসহাফটিতে আপনার কাজে ভবিষ্যতে মৌলিক কোনো পরিবর্তন-পরিবর্ধনের ইচ্ছে আছে কি?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: আশা করছি মৌলিক কোনো পরিবর্তন-এর প্রয়োজন পড়বে না। তবে ছোটখাটো কোন পরিবর্তন পরিবর্ধন বা শোভা বর্ধন-এর প্রয়োজন বোধ হলে কিংবা কারও থেকে তেমন পরামর্শ পাওয়া গেলে অবশ্যই তা সক্রিয় বিবেচনায় আনা হবে ইন শা আল্লাহ্।

মোস্তফা ওয়াদুদ: সকলকে এই মুসহাফের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: মুসহাফটি সদ্য প্রকাশিত হয়েছে, অনেকেই এ সম্বন্ধে অবগত হতে পারেনি। আমার একার পক্ষেও সকলকে অবগত করা ও বোঝানো সম্ভব নয়। আল্লাহর কালামের স্বার্থে সকলেই যদি এটির প্রচার-প্রসারে এগিয়ে আসেন, একে অপরকে এর প্রয়োজন ও গুরুত্ব বোঝাতে থাকেন তাহলেই এক পর্যায়ে সকলে জানতে পারবে এবং উদ্বুদ্ধ হবে ইন শা আল্লাহ্।

মোস্তফা ওয়াদুদ: আপনি এই মুসহাফের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন: আমি আশাবাদী সর্বত্র এই মুসহাফ গৃহীত হবে এবং ইন শা আল্লাহ্ এই মুসহাফই হবে আগামী প্রজন্মের মুসহাফ। সর্ব বিষয়ে আল্লাহ্ই সহায়ক।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ