শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


কেন শিখবেন তুর্কি ভাষা?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়ার পর তুরস্ক বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুরাষ্ট্র। এ অঞ্চলের মানুষের জন্য ইউরোপের দুয়ার বলেও ধরে নেয়া হয় তুরস্ককে। বিশেষ করে তুরস্কের সঙ্গে ভারতীয় মুসলমানদের সম্পর্ক ও আত্মীয়তা অনেক পুরনো। বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু ছিল তুরস্ক। সে অর্থে আমাদের চিন্তা, চর্চা, জ্ঞান ও আচারের অনেক নাড়িনক্ষত্রই ছড়িয়ে আছে তুরস্কের ইতিহাস-ঐতিহ্যে।

এছাড়া আন্তর্জাতিকভাবেও শিক্ষা, শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে তুরস্ক একটি সমৃদ্ধ ও উর্বর দেশ। তুরস্কের মতো সমৃদ্ধ একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অটুট হওয়া একান্ত কাম্য। বাংলাদেশের মানুষ সমৃদ্ধ হতে পারে তুর্কি শিক্ষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতি থেকে; তেমনি নিজেদের শিক্ষা শিল্পও ছড়িয়ে দিতে পারে তুর্কিদের মননে।

এছাড়াও যেসব কারণে তুর্কি ভাষা শেখা সময়ের জোরালো দাবি:
১. হাজার বছরের সংগ্রাম ও সাধনায় সমৃদ্ধ তুর্কি সভ্যতাকে জানা।
২. কয়েকশ বছর ধরে তুর্কি জাতি বিশ্বের সবগুলো পরাশক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমানতালে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার গোপন চাবি কী-সে বিষয়ে অবগত হওয়া।

৩. তুর্কিতে চর্চিত-সংকলিত ইসলামি ও সাধারণ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচিতি লাভ করা।
৪. তুর্কি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে বিচার ও বিশ্লেষণ করার মধ্য দিয়ে নতুন জীবনমানের উৎকৃষ্টতর নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা।
৫. তুর্কি ভাষা থেকে সমৃদ্ধতর প্রাচীন ও আধুনিক ইসলামি ও সাধারণ জ্ঞান-বিজ্ঞান-তত্ত্ব-দর্শন অনুবাদ করা।

৬. তুর্কি ইসলামিক বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ডাবিং করা!
৭. তুর্কি আলেম ও স্কলারদের বয়ান ও লেকচার শোনা ও ডাবিং-অনুবাদ করা।
৮.প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা তুর্কি স্কলারদের কাতারে নাম লেখানো।
৯. নিশ্চিত স্কলারশিপ নিয়ে তুরস্কে পড়াশোনার সুযোগ লাভে অগ্রগণ্য হওয়া।
১০. তুরস্কে যে কোনো চাকরি, ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।

এসব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সবার আগে দরকার তুর্কি ভাষা শেখা। তুর্কি ভাষাকে আরো সহজসাধ্য করার জন্যই তুরস্কে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্নকারী মেধাবী দুই তরুণ বাঙালী Ahmad Amin (আহমাদ আমিন) ও রহমতুল্লাহ এগিয়ে এসেছেন। তাদের এ সাহসী উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।

আরবি, উর্দু, ফার্সি সম্পর্কে যাদের কিছুটা হলেও ধারণা আছে, তাদের জন্য তুর্কি ভাষা খুবই সহজ। কারণ তুর্কিতে আপনি পাবেন আরবি, উর্দু, ফার্সির অসংখ্য শব্দ ও ব্যকরণগত চমকপ্রদ মিল! আপনার জানার কথা, নিকট অতীতেও আরবি হরফে লেখা হতো ইসলামি ঐতিহ্যের অন্যতম শিকড়ের এই ভাষা। তুর্কি ভাষাশিক্ষা সাধারণত A1, A2, B1, B2 এই চারভাগে বিভক্ত থাকে। আমাদের কোর্সটি A1, A2 এবং B1, B2 এই দু’ভাগে দু’টি ব্যাচে বিভক্ত থাকবে। প্রথম ব্যাচ A1, A2-তে সীমাবদ্ধ থাকবে। দ্বিতীয় ব্যাচে থাকবে B1, B2. প্রথম ব্যাচে উত্তীর্ণরা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় তুর্কি ভাষা পড়তে, লিখতে ও বলতে পারবে এবং তুর্কিদের সাথে স্বাভাবিক মিট করতে পারবে।

প্রথম ব্যাচটি সমাপ্ত করার পর প্রশিক্ষণার্থী চাইলে ব্যক্তি উদ্যোগে ভাষাটির পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হতে পারবে; সে কলাকৌশল ও পদ্ধতি আমরাই শিখিয়ে দেব। যারা আমাদের দু’টি ব্যাচই সমাপ্ত করতে পারবেন, তারা একাডেমিক লেভেলে অনর্গল তুর্কি ভাষা পড়তে, লিখতে ও বলতে পারার পাশাপাশি যেকোনো তুর্কি স্কলারের লেকচার অনায়াসে বুঝতে পারবেন।
দুটি ব্যাচ সমাপ্ত করার পর অভিজ্ঞরা তুর্কি ভাষার যে কোনো কন্টেন্ট ডাবিং, অনুবাদ ও গবেষণার কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন। (আমাদের তৃতীয় ব্যাচে থাকবে তুর্কি ভাষা থেকে ডাবিং, অনুবাদ ও গবেষণার কলাকৌশল বিষয়ক
কোর্স।)

দুই ব্যাচে উত্তীর্ণরা তুরস্কের যেকোনো সরকারী ভাষা ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ইউনিভার্সিটি ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় B2 সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারবেন। (উল্লেখ্য, তুর্কি মিডিয়ামে সরকারি ইউনিভার্সিটিতে পড়ার জন্য B2 সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়)

কোর্সে যা যা থাকছে-
ক. সংশ্লিষ্ট ক্লাসের শব্দার্থগুলো প্রথমেই আত্মস্থ করানো হবে।
খ. কোর্স শেষে প্রয়োজনীয় আরো শব্দ যোগ করে তুর্কি-বাংলা শর্ট ডিকশনারি পিডিএফ আকারে প্রশিক্ষণার্থীকে দেয়া হবে।
গ. প্রতি ক্লাসের শেষে সংশ্লিষ্ট ক্লাসের শিট বাংলায় লিখিত আকারে দিয়ে দেয়া হবে।
ঘ. নতুন ক্লাস শুরু করার আগে পূর্বের ক্লাসগুলোর ওপর টেস্ট নেয়া হবে।
ঙ. ব্যাকরণসহ ভাষাগত যাবতীয় নিয়মাবলী বাংলা, আরবি ও ইংলিশের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে আত্মস্থ করানো হবে এবং বাংলায় শিট আকারে হস্তান্তর করা হবে।
চ. দৈনিক হোমওয়ার্ক দেয়া-নেয়া হবে।
ছ. ২৪ ঘণ্টা তুর্কি মিডিয়ামে গ্র্যাজুয়েট অভিজ্ঞদের সঙ্গে ক্লাসসংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয়ে পরামর্শের সুযোগ থাকবে।
জ. কোর্স শেষে সম্পূর্ণ কোর্সের ভিডিও ক্লিপ প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে দিয়ে দেয়া হবে।

এ কোর্সে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেবেন, আহমাদ আমিন, মাস্টার্স, ইস্তাম্বুল ইরমি দকুজ মায়িস ইউনিভার্সিটি, তুরস্ক এবং তাকমিল, মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারি।

সহযোগী প্রশিক্ষক হিসেছে ক্লাস নেবেন, রহমতুল্লাহ, অনার্স, নাজমুদ্দিন এরবাকান ইউনিভার্সিটি, কোনিয়া, তুরস্ক এবং তাকমিল, জামেউল উলুম মাদরাসা, মিরপুর- ১৪।

কোর্সের রেজিস্ট্রেশনসহ সার্বিক যোগাযোগ করতে হবে ব্যবস্থাপক সুলাইমান সাদীর (https://www.facebook.com/sulaimansadi91/) সঙ্গে। মোবাইল: 01732760694 (bkash)

উল্লেখ্য, কোর্স ফি ৩০০০/- (তিন হাজার টাকা)। রেজিস্ট্রেশন চলবে ৯ রমজান পর্যন্ত। প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে ২০ দিন ক্লাস নেয়া হবে। কোর্স শুরু ১০ রমজান থেকে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।  তুরস্ক থেকে zoom-অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেয়া হবে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ