বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫


পুলিশের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: পাবনার সাঁথিয়ায় এক পুলিশের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনার ২১ দিন পর ওই গ্রামে এই ঘটনা ঘটল।

শুক্রবার রাতে হত্যা মামলার আসামি আলহাজের ভাই (যিনি আসামি নন) রবিউল ইসলাম নামে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে এ হামলা চালানো হয়। রবিউল ইসলাম পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে বগুড়ায় কর্মরত আছেন।

জানা গেছে, ৪টি কক্ষে লুটপাট ও বাড়িতে ভাংচুরের চিহ্ন রয়েছে। তার বয়োবৃদ্ধ পিতা আ. রহমান পাষান (১০৫) ও বয়োবৃদ্ধ মা হাজেরা খাতুন (৯০) আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে ঘরের বারান্দায় বসে আছেন।

তারা জানান, শুক্রবার রাতে মুখোশপরা ১০-১৫ জন ব্যক্তি অতর্কিত তার বাড়িতে হামলা করে। তারা ছুরি বের করে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুজনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর বাড়িতে ইচ্ছামতো লুটপাট করে।

এ সময় তারা ৪টা খাট, ৪টা ফ্যান, ১টা ফ্রিজ, ২টা শোকেস, ২টা নলকূপ, পানির মোটর, ২টা খাবারের র্যাক, সাফ বাক্সে রক্ষিত টাকা ও সোনাদানা, জমিজমার মূল্যবান দলিলপত্র, পেঁয়াজ, রসুন, ধানসহ সবই লুট করে নিয়ে যায়।

তারা বাথরুম টয়লেটসহ বাড়িঘর ভাংচুর করে। এর আগে তার ৫ বিঘা জমির সমস্ত পেঁয়াজ লুটপাট করে নেয়। বর্তমানে জমির বেগুন-মরিচ কিছুই তুলতে পারছেন না।

তারা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষ প্রথম তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করলে সাঁথিয়া থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগ দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারই জেরে শুক্রবার রাতে তারা এই ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এই বৃদ্ধ বয়সে তারা যেন বাড়িতে থাকতে পারেন এ আবেদন জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের কাছে।

২৫ মার্চ উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের তাজমল মেম্বার গ্রুপ ও এনামুল হক শশী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে শশী গ্রুপের নাজির নামে একজন নিহত হন। ওই হত্যা মামলার আসামি আলহাজ পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলামের ভাই।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ