বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

সাইয়্যিদুল মুফাস্‌সিরিন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

উবায়দুর রহমান।।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ৬১৯ খ্রিস্টাব্দে, রাসূল সা. এর হিজরতের তিন বছর পূর্বে মক্কায় শিআবে আবি তালিব-এ জন্ম গ্রহণ করেন।

তিনি কুরাইশ বংশের হাশেমি শাখার সন্তান। রাসূল সা. এর সর্বকনিষ্ঠ চাচা আব্বাসের জ্যেষ্ঠ ছেলে। তাঁর মাতা ছিলেন উম্মুল ফজল লুবাবা বিনতে আল হারিস। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস এর জননী হিজরতের পূর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন বিধায় তকে আশৈশব মুসলিম হিসেবে গণ্য করা হয়।

জন্মের পরই তাঁকে রাসূল সা. এর নিকট নিয়ে আাসা হলে তিনি শিশু আবদুল্লাহর মুখে একটু থুথু মোবারক দিয়ে তাহ্‌নিক করেন এবং এই বলে দোয়া করেন - اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ فِي الدِّينِ وَعَلِّمْهُ التَّأْوِيلَ অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আপনি তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করুন এবং তাকে তাফসিরের অগাধ জ্ঞান দান করুন!

রাসূল সা. এর এই দোয়ার বরকতের ফলেই মাত্র অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী হোন। যার ফলশ্রুতিতে তাঁর সম্পর্কে উমর রা. বলতেন هو فتى الكهول তিনি বয়সে নবীন আর জ্ঞানে প্রবীণ। প্রায় সকল সাহাবীই কুরআনের তাফসিরের ক্ষেত্রে তাঁর মুখাপেক্ষী ছিলেন।

ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলি রা তাঁর সম্পর্কে বলেন, কুরআনের তাফসীর বর্ণনার সময় মনে হয় যেন তিনি (ইবনে আব্বাস) একটি স্বচ্ছ পর্দার অন্তরাল হতে অদৃশ্য বস্তুসমূহ প্রত্যক্ষ করছেন।

যুগশ্রেষ্ঠ ফকীহ সাহাবী হযরত ইবনে মাসউদ রা. বলতেন, ইনি কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষ্যকার। যাইহোক, তিনি ছিলেন কুরআনের তাফসীরের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় মুফাস্‌সির। মুসলিম বিশ্বে তাকেই রইসুল মুফাস্‌সিরিন বা সাইয়্যিদুল মুফাস্‌সিরিন বলা হয়। পৃথিবীর সকল মুফাসসির তাঁর মুখাপেক্ষী । তাঁর রচিত বিখ্যাত তাফসির গ্রন্থটি তাফসিরে ইবনে আব্বাস নামে পরিচিত।
তিনি ছিলেন হিবরুল উম্মাহ্‌ অর্থাৎ মহাজ্ঞানী।

কারণ যে কোন দ্বীনি জিজ্ঞাসার জবাব তিনি এমন প্রজ্ঞার সাথে উপস্থাপন করতেন, যাতে করে কোন অস্পষ্ট বিষয় খুব সহজেই স্পষ্ট হতো। হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবীদের অন্যতম। আল্লামা আইনির মতে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস এর বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ১৬৬০ টি । কারো মতে ২৬৬০ টি। এই মহান সাহাবী হযরত জিবরাইল আঃ কে তাঁর জীবনে দুইবার দর্শন করে অবশেষে ৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে তায়েফে ইন্তিকাল করেন ।

লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা আলিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ