বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


যুবরাজকে বাদ দিয়ে সৌদির ৭৬ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার দায়ে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত থাকার কথা গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হলেও তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা উপপ্রধান আহমেদ আল-আসিরির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়া দেশটির রয়্যাল নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে ওই বাহিনী খাশোগি হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

একইসাথে সৌদি আরবের এসব নাগরিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেউ তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না বলেও জানানো হয়।

সৌদির সাবেক গোয়েন্দা উপপ্রধান ও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ৭৬ জন সৌদি নাগরিকের ওপরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সীমানার বাইরে সাংবাদিক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা দেশগুলোকে শায়েস্তা করতে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের ওপরও নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ করা হতে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, যেসব সৌদি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে শুধু তারাই নন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ করা হতে পারে।

এদিকে, খাশোগিকে হত্যায় সৌদি যুবরাজকে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ‘মিথ্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

শুক্রবার রাতে ব্রিটেনের জাতীয় পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, চার পৃষ্ঠার ‘জামাল খাশোগি হত্যায় সৌদি সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক এ গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার অনুমতি দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি যুবরাজ সালমানের বাবা বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলেন। খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অপ্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদন পড়ার পরই সৌদি বাদশাহকে ফোন করেন বাইডেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ