বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

রোগের হালাল প্রতিষেধক না পেলে হারাম ঔষধ গ্রহণ জায়েজ: শায়খ আহমাদুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে একটি মোটা দাগের কথা হলো ইসলামে করোনার টিকা নিতে মোটেও নিষেধ করে না। জনগণ নির্ভয়ে করোনার টিকা নিতে পারেন। বিজ্ঞ আলেমরা জনগণকে করোনার টিকা নিতে উৎসাহিত করছেন। কেননা করোনার টিকা যারা অনুমোদন দিয়েছেন, তারা জেনে শুনে ও গবেষণা করেই করোনার টিকা অনুমোদন করেছেন। তারা বিজ্ঞ ডাক্তার। তাই সব ভয় কাটিয়ে টিকা নিতে পারে জনগণ। কথাগুলো বলছেন দেশের বিজ্ঞ আলেমগণ। দেশের খ্যাতনামা এসব বিজ্ঞ আলেমদের সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ার ইসলামের নিউজরুম এডিটর মোস্তফা ওয়াদুদ। আজকের এ পর্বে থাকছে বিশিষ্ট দাঈ ও আস সুন্নাহ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ এর মন্তব্য।


দেশের বিশিষ্ট ইসলামি দাঈ ও আস সুন্নাহ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ করোনার টিকা নিতে জনগণকে উৎসাহ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রথম কথা হলো রোগ হওয়ার পূর্ব থেকে সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সতর্কতা হিসেবে যেটিকে আমরা বর্তমানে ভ্যাকসিন বা টিকা বলছি এটি ইসলামে সম্পূর্ণ অনুমোদিত একটি বিষয়। আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যদি সকালবেলা ৭ টি আজওয়া খেজুর খায় তাহলে তাকে কোনো রোগ স্পর্শ করবে না। এই যে রোগ হওয়ার আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা-এটি এ হাদিস থেকে প্রমাণিত। বিধায় টিকা কিংবা ভ্যাকসিন নেয়া তাওয়াক্কুল বিরোধী কোনো কাজ নয়। বরং এটা ইসলামের শিক্ষার মধ্যে পড়ে। ইসলামের শিক্ষা থেকে কিংবা রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস থেকে অনুমোদিত হিসেবে বুঝা যায়।

এরপর বর্তমানে কোভিড-১৯ এর যে ভ্যাকসিন বাজারে এসেছে এটিতে শুকরের জেলেটিন থাকতে পারে এমন বিষয় ধারণা করা হচ্ছে। হতে পারে জেলেটিন আছে কিংবা নেই। যেটাই থাকুক না কেনো শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে যদি কোনো রোগের ঔষধ বা প্রতিষেধক হালাল পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা করা জায়েজ নেই। রাসূলে কারীম সা. বলেছেন, ‘কোনো রোগ এমন নেই, যার প্রতিষেধক বা ঔষধ সৃষ্টি করেননি। তোমরা হারাম বস্তু দ্বারা বানানো ঔষধ বা প্রতিষেধক গ্রহণ করবে না।’

তবে যদি কোনো রোগের হালাল কোনো প্রতিষেধক বা ঔষধ পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে হারাম প্রতিষেধক বা ঔষধ গ্রহণ করা মানুষের জন্য জায়েজ রয়েছে। এটাই হচ্ছে সারাবিশ্বের ইসলামী স্কলারদের মত।

আর ভ্যাকসিন বিষয়ে জনমনে যে বিভ্রান্তি বা আতঙ্ক কাজ করছে, এটা দূর করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। যারা ভ্যাকসিন আবিস্কার করেছেন তারা নিজেরা যদি এ আতঙ্ক দূর করতে ব্যর্থ হোন তাহলে এর দায়ভার তাদের উপরই বর্তাবে। এখানে জনসচেতনতার জন্য আমরা যেটুকু বলছি সেটি হলো, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে করোনার টিকা নেওয়া বা ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়া সম্পূর্ণ জায়েজ। এর ব্যবহারে ইসলামে কোনোরকমের নিষেধাজ্ঞা নেই।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ