বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা বৈধ কি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রশ্ন: সম্মানিত মুফতি সাহেব! আমি জাহিদ হাসান। আমি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করতে ইচ্ছুক। ব্যাংক কোম্পানি শতকরা হিসেবে ব্যবসায়ীকে মুনাফা বা কমিশন দিয়ে থাকে। যেমন প্রতি হাজার লেনদেনে পাঁচ টাকা। এ ব্যবসার মূল নিয়ন্ত্রক যেহেতু সুদী ব্যাংক তাই এ মুনাফা কেন্দ্রিক ব্যবসা জায়েয হবে কি না? গ্রাহকের মোবাইল একাউন্ট থাকলে অনেক সময় কোম্পানি গ্রাহককে বোনাসও দিয়ে থাকে এই বোনাসের টাকা গ্রাহকের জন্য গ্রহণ করা জায়েয হবে কি না দয়া করে জানাবেন।
নিবেদক
মুহা. জাহিদ হাসান
লালমোহন, ভোলা

জবাব: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্টগণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোম্পানির প্রতিনিধি ও কর্মী হয়ে থাকেন। ফিকহের পরিভাষায় যাকে أجير مشترك বলা হয়। এ ধরণের কর্মীকে কাজ অনুপাতে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। ব্যাংক কোম্পানির কর্মী হিসেবে এজেন্টগণ গ্রাহকদেরকে ক্যাশইন ও ক্যাশআউটের সেবা প্রদান করে থাকে। কোম্পানি এজেন্টকে পারিশ্রমিক হিসেবে লেনদেনকৃত অর্থের শতকরা একটি পরিমাণ দেয়। অপরদিকে ক্যাশআউট সেবা দেওয়ার সময় সার্ভিস চার্জ হিসেবে কোম্পানি গ্রাহককের একাউন্ট থেকে শতকরা হারে বড় একটি পরিমাণ কেটে রাখে। এক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক যে এজেন্টকে কোম্পানি যে পারিশ্রমিক দেয় তা গ্রাহক থেকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে গৃহিত অর্থ থেকেই প্রদান করে। এ হিসেবে এজেন্টের জন্য কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক হালাল হবে।

উল্লেখ্য, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে জমানো টাকার উপরও সুদ আসে। তাই যে গ্রাহক সুদ পাওয়ার উদ্দেশ্যে ক্যাশইন করতে আসবে কিংবা সুদের টাকা ক্যাশআউট করতে আসবে তাদের সেবা প্রদান করা সুদী লেনদেনে সহায়তার অন্তর্ভূক্ত হবে বিধায় তাদেরকে সেবা প্রদান করা জায়েয হবে না এবং এই সেবার উপর প্রাপ্ত পারিশ্রমিকও হালাল হবে না।

তবে গ্রাহকের মোবাইল ব্যাংক একাউন্টে (বিকাশ বা রকেট ইত্যাদিতে) টাকা জমা রাখার কারণে যদি কোম্পানি গ্রাহককে বোনাস (ইন্টারেস্ট) দেয় তাহলে গ্রাহক সে অতিরিক্ত বোনাস উত্তোলন করে গরিবদের সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করে দিবে।
المراجع والمصادر:
(১) القرآن الكريم، سورة النساء: ১৩০
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُضَاعَفَةً وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ.
(২) صحيح مسلم، رقم الحديث: ৪১৭৭
عن جابر قال لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه وقال هم سواء.
(৩) بدائع الصنائع ৪/১৬
وأما معنى الإجارة فالإجارة بيع المنفعة لغة ولهذا سماها أهل المدينة بيعا وأرادوا به بيع المنفعة ولهذا سمي البدل في هذا العقد أجرة ، وسمى الله بدل الرضاع أجرا بقوله {فإن أرضعن لكم فآتوهن أجورهن} والأجرة بدل المنفعة لغة ولهذا سمي المهر في باب النكاح أجرا بقوله عز وجل {فانكحوهن بإذن أهلهن وآتوهن أجورهن} أي مهورهن لأن المهر بدل منفعة البضع، وسواء أضيف إلى...وعبيد الخدمة...ونحو ذلك أو إلى الصناع من القصار، والخياط، والصباغ والصائغ، والنجار والبناء ونحوهم، والأجير قد يكون خاصا وهو الذي يعمل لواحد وهو المسمى بأجير الواحد، وقد يكون مشتركا وهو الذي يعمل لعامة الناس وهو المسمى بالأجير المشترك،
(৪) رد المحتار ৯/৫৫৩
لأن سبيل الكسب الخبيث التصدق إذا تعذر الرد على صاحبه اهـ.
(৫) جدید فقہی مسائل ১/৪২০ ، بینک کے سود کے مصارف
بینک کے سود کے سلسلہ میں یہ یاد رکھنا چاہۓ کہ نہ اس کو اپنی ذات پر خرچ کیا جا سکتا ہے اور نہ صدقہ میں دیا جا سکتاہے۔۔۔
(৬) کتاب النوازل: ১২/৪০৯
منی ٹرانسفر کا کاربار کرنا۔ الجواب: سوال میں منی ٹرانسفر کی جو شکل لکھی گئی ہے یہ موجودہ دور میں منی آرڈر کی ایک جدید شکل ہے،اس میں پیسہ منتقل کرنے والا اجیر کی حیثیت سے اپنا حق المحنت وصول کرتا ہے، اس لۓ شرعا اس کی گنجائش ہے۔۔۔

উত্তর লিখনে
মুফতি আবুল ফাতাহ কাসেমি
উস্তাদ, জামিয়া কারীমিয়া আরাবিয়া রামপুরা, ঢাকা।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ