শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি, শিক্ষকদের হাজির থাকতে হবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে, শিক্ষকদের নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেয়া হবে।

করোনা পরিস্থিতি বুঝে মার্চের আগেই সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া সম্ভব কি না তা নিয়ে আলোচনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। করোনাকালে কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ পরিকল্পনা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে সকলকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ কথা বলেন। তিনি বলে, গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা গেছে, উক্ত সভায় সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে সীমিত পরিসরে স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ দুই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হলেও ঠিক কবে থেকে খুলে দেওয়া হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ফেব্রুয়ারি মাসেই যে কোনো সময় খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চলতি বছরের এসএসসি-সমমান ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা হবে।

সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শেষ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা হবে। এ জন্য দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে দ্রুত নির্দেশনা পাঠিয়ে দেয়া হবে। শনিবার থেকে শিক্ষকদের নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেও নির্দেশনা দেয়া হবে।

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘রি ওপেনিং প্ল্যান’ কী কী হতে পারে তা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করে দুই মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য তৈরি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি মৌখিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন। সেটি চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রি ওপেনিং প্ল্যান কী কী হবে সেসব বিষয় নিয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’

কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পাঠদানের একটি পরিকল্পনা তৈরি করে মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সকল বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। সেটি অনুসরণ করে শিক্ষকরা ক্লাস পরিচালনা করবেন।’ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসঙ্গে খোলা হবে বলেও জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা হলেও সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হবে না। মফস্বল পর্যায়ে যেখানে করোনার প্রাদুর্ভাব কম, সেখানের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হতে পারে। যেহেতু শহরের শিক্ষার্থীরা টিভি, অনলাইন, রেডিওতে সম্প্রচারিত ক্লাসে যুক্ত রয়েছে এবং মফস্বলের অনেক শিক্ষার্থী সেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তাই শুরুতে গ্রামের স্কুল খুলে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ