মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫


বিএনপির কাজই হচ্ছে বসে বসে মিথ্যাচার করা: কাদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কাজই হচ্ছে বসে বসে মিথ্যাচার করা। মিথ্যাচার আর অন্ধ সমালোচনা করা ছাড়া তাদের আর অন্য কোনো সক্ষমতাও নেই।

বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সভায় ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষের সুরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নেতৃত্বে যে উদ্যোগ চালানো হয়েছে, তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। অথচ বিএনপি বরাবরের মতো মিথ্যা বলছে, সরকার না-কি করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছিলেন লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং আল্লাহর রহমতে এখনও তা হয়নি বলেই বিএনপি নেতাদের এত আক্ষেপ। এ জন্য তারা মনযন্ত্রণায় ভুগছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা যখন মানুষের কল্যাণে দিবারাত্রি সেবা দিয়েছেন, তখন বিএনপি উটপাখির মতো বালুতে মাথা লুকিয়ে রেখেছিল। আর এখন নির্লজ্জভাবে বলছে, সরকার ব্যর্থ। বিএনপি করোনা টিকা নিয়ে আগাম অপপ্রচার শুরু করছে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেকোনো কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের রাজনীতি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার ও দেশের সফলতা এবং অর্জন বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরায়। তাদের আমলে প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে সামান্যতমও দ্বিধাবোধ করে না। করোনার অভিঘাত সরকার সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। করোনার টিকা সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও টিকা দানের কাজও স্বচ্ছতা ও সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করবে শেখ হাসিনা সরকার, ইনশাআল্লাহ।

কাদের বলেন, পরবর্তী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করলে যেকোনো পর্যায়ের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্রোহী ও তাদের মদদদাতাদেরও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি জানান, আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির নিশ্চয়তা, চাকরির নিরাপত্তা এবং শ্রমিক কল্যাণ ও ট্টেড ইউনিয়ন অধিকারের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে শেখ হাসিনা সরকার। এছাড়া পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে নেওয়া হয়েছে কার্যকর উদ্যোগ। দেশে ৪৩টি শিল্প সেক্টরের মধ্যে ৪০টি সেক্টরে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি শতভাগ বেড়ে আট হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ। কৃষিকে শিল্পে রুপান্তরের পাশাপাশি সরকার কৃষিকাজে নিয়োজিতদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ