বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


দ্বিতীয় ধাপে পৌর নির্বাচনে আ.লীগ ৯, বিএনপি ১

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ১২টি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নয়জন প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

একটি পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এ ছাড়া বিএনপি ও জাসদ থেকে মনোনীত দুজন প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে দেশের ৬০টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ করা হয় বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে কয়েকটি স্থানে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাঙচুর ও নির্বাচন বর্জনসহ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।

নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের যাঁরা জয়ী হয়েছেন তাঁরা হলেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় আবদুল কাদের মির্জা, মোংলায় শেখ আব্দুর রহমান, নাটোরের নলডাঙ্গায় মো. মনিরুজ্জামান মনির, রাজশাহীর কাকনহাটে আতাউর রহমান খান, ভবানীগঞ্জে আবদুল মালেক মণ্ডল, কুষ্টিয়া সদরে আনোয়ার আলী, মিরপুরে এনামুল হক ও কুমারখালীতে শামসুজ্জামান অরুণ এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মতিউর রহমান।

নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি, জাসদ ও আওয়ামী লীগের একজন করে মেয়র পদপ্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে বগুড়ার সান্তাহারে বিএনপির তোফাজ্জল হোসেন, রাজশাহীর আড়ানীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জাসদের আনোয়ারুল কবির টুটুল নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে কয়েকটি পৌরসভায় ককটেল বিস্ফোরণ, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া ও ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বাগেরহাটের মোংলা, রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ, পাবনার ঈশ্বরদী ও কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভার বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। একই কারণে মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়া সব প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

দেশের ৬০টি পৌরসভা নির্বাচনে ভোট শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে। ভোটের শুরুর পর কিছু পৌরসভায় ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ দেখা দেয়।

গাইবান্ধা পৌরসভার সরকারি টেক্সটাইল স্কুলকেন্দ্রে দুই মেয়র পদপ্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ব্যালট পেপার ছিনতাই ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মেয়র পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ফেনীর দাগনভূঞার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটনা ঘটেছে।

নাটোরের লালপুরে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী লীগপ্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা লিলি।

মোংলা পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের ১২টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হয়েছে। তিন নম্বর ওয়ার্ডের চালনা বন্দর ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আবদুর রহমান।

এর পর পরই ভোট দিয়েছেন বর্তমান মেয়র ও বিএনপির প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী। তবে এর ঘণ্টা খানেক পরই কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া ও ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির প্রার্থী। একই অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন চারজন স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থীসহ ১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী।

এ ছাড়া নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ, পাবনার ঈশ্বরদী, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভার বিএনপির প্রার্থী। মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।

বাকি পৌরসভাগুলোয় বড় ধরনের অভিযোগ ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে ভোট। কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী, মিরপুর ও ভেড়ামারায় উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর পৌরসভার সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ। নোয়াখালীর বসুরহাটে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।

এ ছাড়া সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক ও জগন্নাথপুর পৌরসভা, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, কিশোরগঞ্জ সদর, বান্দরবানের লামা, বগুড়ার শেরপুর, সারিয়াকান্দি ও সান্তাহার, নারায়ণগঞ্জের তারাব, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। তবে সাভার পৌরসভায় ভোটারের খুব একটা উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ